পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ዓ 哈*5h কথাবাৰ্ত্তা চলিতেছে, দু’দিন আগেই হউক, পাছেই হউক, সেই ঘরেই একদিন হইবে । এই বিবাহ উপলক্ষে নবীন রায় কত টাকা আদায় করিবেন, সে-সব আলোচনাও সে শেখরের জননীর কাছে শুনিয়াছে। তবে কেন, তাহাকে হঠাৎ আজ এমন করিয়া শেখার-দা অপমান করিয়া বসিল! এই সব কথা ললিতা সুমুখের দিকে শূন্য-দৃষ্টিতে চাহিয়া নিজের মনে মগ্ন হইয়া আলোচনা করিতেছিল, সহসা চমকিয়া মুখ ফিরাইয়৷ দেখিল, শেখর নিঃশব্দে হাসিতেছে। ইতিপূর্বে যে উপায়ে মালাটা সে শেখরের গলায় পরাইয়া দিয়াছিল, ঠিক সেই উপায়ে সেই গাদা-ফুলের মালাটা তাহার নিজের গলায় ফিরিয়া আসিয়াছে। কান্নায় তাহার কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া আসিতে লাগিল, তবু সে জোর করিয়া বিকৃতস্বরে বলিল, কেন এমন করলে ? তুমি করেছিলে কেন ? আমি কিছু করিনি, বলিয়াই সে মালাটা টান মারিয়া ছিাড়িয়া ফেলিবার জন্য হাত দিয়াই, হঠাৎ শেখরের চোখের দিকে চাহিয়া থামিয়া গেল। আর ছিাড়িয়া ফেলিতে সাহস করিল না, কিন্তু কঁাদিয়া বলিল, আমার কেউ নেই ব’লেই তা তুমি এমন করে আমাকে অপমান করছি । শেখর এতক্ষণ মৃদু মৃদু হাসিতেছিল, ললিতার কথা শুনিয়া অবাক হইয়া গেল। এ ত ছেলেমানুষের কথা নয় ! কহিল, আমি অপমান করছি, না তুমি আমাকে অপমান করছ ? ললিতা চোখ মুছিয়া ভয়ে ভয়ে বলিল, আমি, কৈ অপমান করলুম ? শেখর ক্ষণকাল স্থির থাকিয়া সহজভাবে বলিল, একটু ভেবে দেখলেই টের পাবে। আজকাল বড় বাড়াবাড়ি করছিলে ললিতা,