পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

敬总 of ক্ষণকালের জন্য তোরঙ্গ গুছানো স্থগিত রাখিয়া সে শূন্যদৃষ্টিতে জানালার বাহিরে চাহিয়া এই সব ভাবিতে লাগিল, এমন সময়ে দ্বারের বাহিরে দাড়াইয়া পুৰাতন দাসী কহিল, ছোটবাবু, কালীর মা একবার আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। শেখর মুখ ফিরাইয়া অত্যন্ত আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, কোন কালীর মা ? দাসী হাত দিয়া গুরুচরণের বাড়ীটা দেখাইয়া বলিল, আমাদের কালীর মা ছোটবাবু, তারা কাল রাত্তিরে ফিরে এসেছেন যে! চল যাচিছ, বলিয়া সে তৎক্ষণাৎ নামিয়া গেল । তখন বেলা পড়িয়া আসিতেছিল, সে বাড়ীতে পা দিতেই বুকভাঙা কান্নার রোল উঠিল। বিধবা বেশধারিণী গুরুচরণের স্ত্রীর কাছে গিয়া সে মাটিতেই বসিয়া পড়িল এবং কেঁচার খুঁট দিয়া নিঃশব্দে চোখ মুছিতে লাগিল। শুধু গুরুচরণের জন্য নহে, সে নিজের পিতার শোকে ও আর একবার অভিভূত হইয়া পড়িল । সন্ধ্যা হইলে ললিতা আলো জ্বালিয়া দিয়া গেল। দূর হইতে গলায় আঁচল দিয়া তাহাকে প্ৰণাম করিল, এবং ক্ষণকাল অপেক্ষা করিয়া ধীরে ধীরে চলিয়া গেল। শেখর সপ্তদশবর্ষীয়া পর্যন্ত্রীর পানে চােখ তুলিয়া চাহিতে বা ডাকিয়া কথা কহিতে পারিল না। তথাপি আড়চোখে যতটা সে দেখিতে পাইয়াছিল, মনে হইল ললিত যেন আরও বড় হইয়াছে এবং অত্যন্ত কৃশ হইয়া গিয়াছে। অনেক কান্নাকাটির পরে গুরুচরণের বিধবা যাহা ; বলিলেন, তাহার মৰ্ম্ম এই যে, এই বাড়ীটা তিনি বিক্রয় করিয়া মুঙ্গেরে জামাইয়ের আশ্রয়ে থাকিবেন, এই তার ইচ্ছা । বাড়ীটা বহুদিন হইতে শেখরের পিতার ক্রয় করিবার ইচ্ছা ছিল, এখন উপযুক্ত মূল্যে তাহারাই ক্ৰয় করিলে ইহা একরকম নিজেদেরই থাকিবে, তঁহার