ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার। brసా পাইবে, তাহাই “ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার” । যে ধৰ্ম্মভাব প্রচারিত হইলে দেখিব যে, ভারতীয় প্রত্যেক ব্যক্তি আৰ্য্যগণের যোগ, জ্ঞান, ও ধৰ্ম্মাচার স্মরণ করিয়া প্রেমাশ্রীপুর্ণ নয়নে তাহাদের গুণ-গানে উল্লাসযুক্ত হইয়াছে, "ধৰ্ম্মাৎপরতরং নহি” বলিয়া মানবীয় কৰ্ত্তব্যে মনোনিবেশ করিয়াছে, “এক এব স্বহৃন্ধৰ্ম্মঃ’ বলিয়া নারায়ণকে মনঃপ্রাণ সমর্পণ করিতে শিখিয়াছে, তাহাই “ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার” । যে প্রণালীতে ধৰ্ম্ম-প্রচারিত হইলে, প্রত্যেক ব্যক্তির মুখে, “জয় ভারতের জয়, যতোধৰ্ম্মস্ততোজয়ঃ, জয় জয় ধাৰ্ম্মিক হৃদয় । জয় ব্রহ্ম নারায়ণ, জয় শুক সনাতন, জয় জয় ভারতের জয়”—এইরূপ আনন্দধবনি শুনিব,তাহাই “ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার" । শরীরের পীড়। এক দিনেই প্রকাশিত হয় না। শরীরস্থ ধাতুগত শক্তি নানা কারণে ক্রমশঃ মলিন হইলে পর, তত্তাবতেরই বিকাশস্বরূপ পীড়ার বাহ্য লক্ষণ শরীরে প্রকাশিত হয় । ধাতুগত বিরুতি যে সময় হইতে জন্মিতে থাকে, সেই সময়ে সাবধান হইতে পারিলে জীবকে আর ব্যাধির যন্ত্রণ ভোগ করিতে হয় না । হিন্দু রাজত্বকালেই ভারতবর্ষের ভাবগত অধৰ্ম্মের উদ্বোধন অথবা ধৰ্ম্মচ্যতির সুচনা দেখা দিয়াছিল—ধৰ্ম্মাচারগত দুর্দশার বীজ হিন্দু-রাজত্বকালেই উপ্ত হইয়াছিল, বৌদ্ধ-শাসনে সেই ক্ষেত্রে জল সেচন হয়, মুসলমান রাজত্বকালে তাহার অক্ষুরোৎপত্তি হইল, এবং ইংরাজ রাজত্বে উহা পল্পবিত হইতেছে । জীবের আধ্যাত্মিক স্বচ্ছন্দ অবস্থায় মনের প্রকৃতি, দিড় নির্ণয়-যন্ত্রের লক্ষ্য ধ্ৰুৰ তারার দিকে থাকার ন্যায়, সত্যের দিকে—সারভূত
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।