পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So পরিব্রাজকের বক্তৃত। পদার্থের দিকে,—সৰ্ব্বথা ভগবানের দিকে অবিচলিত থাকে। ভারতবর্যের প্রকৃতিগত দৃষ্টি যত দিন পরমাত্মার দিকে স্থিরভাবে ছিল, যত দিন সংসারকে কেবলমাত্র কৰ্ম্মক্ষেত্র জানিয়া ধৰ্ম্মার্থ কাৰ্য্যানুষ্ঠানে মানবের মনোবেগ প্রধাবিত হুইত, যত দিন আত্মার নিৰ্ম্মল সত্তানুভবে মনঃ প্রাণ বিগলিত হুইত, তত দিন ভারতবর্ষের উন্নতাবস্থা অক্ষুণ্ণ ছিল। ভোজরাজার রাজত্বকালে, মহারাজ বিক্রমাদিত্যের অধিকারকালে কবিত্বও পাণ্ডিত্যের ছটায় ভারতীয় গগন উজ্জ্বল ও আলোকিত হইয়াছিল। বলিতে গৌরব-বুদ্ধি বিস্ফারিত হইয় উঠে—কালিদাস, ভবভূতি, শ্ৰীহৰ্ষ প্রভূতির অভু্যদয়ে সংস্থত সাহিত্য-রাজ্যে অমূল্য রত্বকোষ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । কবিতার মাধুরীতে হৃদয় পুলকিত ও উচ্ছসিত হইয়। উঠে ; কবি যে রসের সঞ্চার করিবেন, যে রসের নিঝরিণী খুলিয়া দিবেন, সেই রসে জগৎ ভাসিয়া যাইবে,—ডুবিয়া যাইবে । বাল্মীকির কবিতায় যে রসের ফোয়ার ছুটিয়াছিল, তাহাতে জীব অবগাহন করিয়া পবিত্র ও কৃতাৰ্থ হইয়াছিল । কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের কবিতায় যে রসের স্রোত বহিয়াছিল, তাহাতে স্নান করিয়া জীবের তাপিত প্রাণ সুশীতল হুইয়াছিল। কিন্তু মহাকবি কালিদাস প্রভূতির কবিতা-শক্তি যে রসেস্তু, শতমুখী নিঝরিণী খুলিয়া দিয়াছে, তাহাতে লোকের হৃদয় প্লাবিত হইয়া, উন্মত্ত হইয়া, কুল কিনার ছাড়াইয়া, কে কোথায় ভাসিয়া গিয়াছে, তাহার নিদর্শন পাওয়া কঠিন। কণুির কবিগণ আমোদ প্রমোদ, রং তামাসার উচ্চ সে মানব মনকে অত্যুচ্চ পবিত্র রত্ন-বেদি