ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । ఫిలి রের হস্ত-পদাদি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরস্পর সহানুভাবকত করিয়া থাকে। সুস্থ শরীরে পদাঙ্গুষ্ঠের একাংশে কিঞ্চিম্মাত্র আঘাত লাগিলে সমস্ত শরীর বিত্রস্ত হইয় উঠে, এবং যতক্ষণ না সেই আহত স্থানের ক্লেশ বিদূরিত হয়, ততক্ষণ সমস্ত শরীরই অবসন্ন ও অস্বচ্ছন্দ থাকে। ঐ আহত অংশকে পুনঃ প্রকৃতিস্থ করিবার জন্য সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গই যত্ন ও সাহায্য করিতে থাকে। আর যদি শরীরের অৰ্দ্ধাঙ্গে অথবা কোন প্রত্যঙ্গে পক্ষাঘাত-রোগ ব্যাপ্ত হইয় থাকে, তাহা হইলে শরীরের অন্য কোন অঙ্গে আঘাত লাগিলে, অথবা যাতন। জন্মিলে, সেই রোগাভিভুত অঙ্গ সেই র্যাতনার ভোগ-ভাগী হয় না, এবং ঐ যাতনার উপশম করিবার জন্য তাহার যত্ন বা সামর্থ্য দেখিতে পাওয়া ষায় না। মলিন ও অস্বস্থপ্রকৃতি ভারতবর্ষের অবস্থা অতি শোচনীয়। অনেক দিন হইতে ইহার এক বিভাগের সহিত অন্য বিভাগের সহানুভাবকতার হ্রাস হইয়া গিয়াছে। আজ রাজপুতনায় দুর্ভিক্ষদহে যদি সহস্ৰ সহস্ৰ লোক প্রাণত্যাগ করে, তৰে তাহাঁদের দুঃখে দুঃখী হইয়া কয়জন অন্য বিভাগবাসী মুক্তহস্তে তাহাদিগের সাহায্যার্থ অগ্রসর হয়েন ? বরং দেখিতে পাওয়া যায়, বৃথা রঙ্গরসে, কুরুচিপূর্ণ আমোদ প্রমোদে লক্ষ লক্ষ মুদ্র অপব্যয়িত হইতেছে, তথাচ দুর্ভিক্ষ-পীড়িতগণের সাহায্যার্থ দুইটী পয়সা দিতে ভারবোধ হইয়া থাকে। এখন এক দেশের সহিত অন্য দেশের সাক্ষাৎ হুইবার, সম্মিলিত হুইবার, সখ্যতা-স্থাপন করিবার -গঁদুপায় সকল আবিষ্কৃত হইতেছে। আমাদের স্বচতুর
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।