〉ob" পরিব্রাজকের বক্তৃত । নিত্যানন্দ প্রভৃতি বৈকুণ্ঠের বিজয়-শঙ্খ বাজাইয়া হরিনামের সুধাবৃষ্টি করিয়া ও সমস্ত লোকের মন ভিজাইতে পারেন নাই, সেই পাপ-পাষাণ হৃদয় গলাইতে, সেই বজ্রলেপময় কঠিন হৃদয়ের স্তর ভেদ করিতে, কি তোমার আমার ন্যায় কোন ক্ষুদ্র ব্যক্তি কখন সমর্থ হইবে ? অামার৷ এ সমস্ত আপত্তি অবনত মস্তকে অঙ্গীকার করিয়াও সাহসে ও উৎসাহে হৃদয়কে বাধিব এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহ মাত্রকে ভরস। করিয়া কাৰ্য্যক্ষেত্রে অগ্রসর হইব। পূৰ্ব্বোক্ত মহাপুরুষগণ সকল লোকের মনের মত কাজ না করিয়া গেলেও তাহার। যাহা করিতে আসিয়াছিলেন, তাহ স্বসম্পন্ন করিয়া গিয়াছেন । “মুকং করেীতি বাচালং পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম্ । যৎকৃপা তমহং বন্দে পরমানন্দমাধবম্ ॥” এই মহামন্ত্ররূপ মহাবাক্যকে আশ্রয় করিয়া অকুল সমূদ্রে ঝাপ দিব, অকুলের কাওরী হরি কুলে উঠাইয়া দিরেন, ইহাই আমাদিগের বিশ্বাস । একবার আমি তীর্থযাত্রাকালে একটী পাষাণ-নিৰ্ম্মিত অতিশয় স্থদ্বঢ় প্রাচীন দুর্গদ্বার দর্শন করিয়াছিলাম। উহা যে কখনও বন্যার বেগে, বর্ষার বেগে, প্রবল বায়ুর বেগে, অথবা গোলার আঘাতে, ভঙ্গিয়া পড়িবে, এরূপ আশঙ্কণ ছিল না। প্রতিষ্ঠাতা বহু ব্যয়ে, বহু যত্বে উহাকে मूफ़ হইতেও দৃঢ়তর করিয়াছিলেন। কিন্তু দেখিলাম, কি জানি, কোন ক্ষণে একটী বটের বীজ তাহার উপর পড়িয়াছিল, আকাশে প্রবহমান বায়ু হইতে রসকণিকা পান,
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।