পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YR পরিরাজকের বক্ততা। যে স্থান এক সময়ে রাজন্যবর্গের পুলকময়ী পুরী ও সুশোভন রাজসভা ছিল, কাল-প্রভাবে সেই স্থান জনশূন্য অরণ্য ও প্রাস্তরে পরিণত হইল। চিরদিন একভাবে যায় না । কোন লোক বা কোন দেশ এক অবস্থাকে আলিঙ্গন করিয়া চিরদিন দুঃখে বা সুখে যাপন করে না, ইহা স্বভাব-সিদ্ধ সত্য । এই পরিবর্তনই বিধাতার বিচিত্র মহিমার পরিচয় প্রদান করিতেছে। আমাদের এই ভারতবর্ষই বিপুল বিপ্লবের একটা প্রধান আদর্শস্থল। ইহার অভু্যুদয়-দর্শনে একদিন ভূমণ্ডল বিস্ময়াপন্ন হইয়াছিল। আজ সেই ভারতবর্ষের সেই শুভদিনের স্থচিহ্ন-রাশি কোথায় তিরোহিত হইল । রাজপুর আজ শূন্য শ্মশান-ভূমি হইয়া দাড়াইল স্বমধুর সামগান-শ্রবণে একদিন বনের পশু পর্য্যন্ত স্তব্ধ ও বিমোহিত হইয়াছিল ; যজ্ঞধুমে একদিন ভারতীয় গগন-মণ্ডলে সুধাকণবষী মেঘমালা বিরচিত হইয়াছিল ; একদিন গাওঁীবের জ্যানির্ঘোষে দিগেদশ কঁপিয়া উঠিয়াছিল ; একদিন গদাযুদ্ধধারী বীরবর্গের গগনভেদী গভীর গর্জনে ভারত টলমল করিয়া উঠিয়াছিল ; বিজয়ভেরী-নিনাদে বিপক্ষবর্গের কর্ণ বধির করিয়া একদিন ভারত নৃত্য করিয়াছিল । আজ সেই ঋষি তপস্বী ও বীরগণের প্রস্তুতি ভারত-ভূমি অকুল-কালতরঙ্গে উলটি পালটি খাইয়। কলিমল মহাসাগরের অতলগর্ভে ডুবিয়া গেল ! যোগীন্দ্র, যতীন্দ্র, মুনীন্দ্র, সিদ্ধ সাধকগণ দৃষ্টির অগোচর মার্গে অন্তৰ্হিত হইলেন । দোর্দওপ্রতাপে প্রচও-তাপবষী রণধীর বীরবর্গ অস্ত্র, শস্ত্র, স্বার্থ সামর্থ্য সহিত কোথায় অদৃশ্য হইলেন। সসাগর। বস্কন্ধরার