ভারতের আর্য্যভাব । ANS) একছত্ৰী ভূপতিগণ তেজোহীন, বীর্য্যহীন, শৌর্য্য ও সাহসবিহীন, অবশেষে চৈতন্য-শূন্য হইয়া একে একে অতীত কালের নিভৃত ক্রোড়ে শয়ন করিলেন । দুর্গোৎসবের বিজয়া-দশমীদিনের ন্যায়, ভারতের চারিদিক যেন শোভা, সৌন্দর্য্য, ও আনন্দ-পরিশূন্য হইয়া উঠিল। শ্রুতি, স্মৃতির কার্য্যকলাপ প্রায় লুপ্ত হইয়া আসিল । দেবভাষার অনুশীলনে লোকের অনাদর জন্মিল । লোক সকল ব্রহ্মচর্য্য-সাধনে পরামুখ হইয়। উঠিল। সদাচারের ভাণ করিয়া শঠগণ কপটাচার করিতে লাগিল। ব্রহ্মবিচরণ হৃদৃকমলাসন হইতে বিতাড়িত হইয়। রসনাসনে উপবিষ্ট হইলেন। হরিপ্রিয় লক্ষী আর ভারত-প্রকৃতির কোমল-ক্রেগড়ে বসিয়া ক্রীড়া করিতে চাহেন না । ভারতের গুণগৌরব-রাশি দিন দিন উপেক্ষার প্রবল পদাঘাতে বিচূর্ণ ও বিনষ্ট হইতে লাগিল । পাপ তপের প্রচও জ্বালামালা হইতে রক্ষণ পাইবার জন্য লোক সকল আর সদ্ধৰ্ম্মকল্পতরুর শীতল ছায়ায় বসিতে চায় না । লোভে, জুরাচারে, নিষ্ঠ রতা, G বৃথ। বিবাদে মনের বেগ প্রধাবিত হইয়া উঠিতেছে। সৎকার্য্য ও সংকথার প্রসঙ্গ শুনিলে লোকের শ্রীতিপীড়া উৎপন্ন হইতেছে। অসন্তোষ, অভিমান, দন্ত, মাংসৰ্ঘ্যরূপ সুরাপানে লোক প্রমত্ত হইয়। উঠিতেছে । আলস্য, ঔদাস্য, শোক, রোগ, দ্বেষ, দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষ, বিষাদ, বিলাস আদিতে ভারতীয় আর্ধ্যভাবের মূলদেশ উৎখাত হইতেছে। নীচশয়তা, অন্ততভাষণ, বিপুল তৃষ্ণা আদিতে আর্য্যহৃদয় ক্রমে মলিন হইয়া উঠিতেছে। নারীগণের স্বেচ্ছাচারিতায়,
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।