পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎼᎭ পরিব্রাজকের বক্তৃত। চূড়ায় চূড়ায় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। কৰ্ম্মের দোষে, মনের দোষে আর্য্যজাতির ভাব-প্রতিষ্ঠার চিহ্নচয় ক্রমে মলিন হইয়া আসিতেছে। আবার পূর্ণ উদ্যমে, পূর্ণ উৎসাহে, পূর্ণ প্রযত্ব করিতে পারিলে এই বিশ্ববিজেত্রী আর্য্যজাতির গৌরব ংরক্ষিত হইতে পারে। আর্য্যজাতির রীতি নীতি ও ধৰ্ম্মভাবাদি স্মরণ হইলে এখনও আমাদিগের পাষাণ হৃদয় আনন্দের আবেগে বিগলিত হইয়া নৃত্য করিতে থাকে। তাহাদিগেরই সুচারু চরিত কথার প্রসঙ্গাধীন আলাপ করিয়া এখনও আমরা ভারতের আত্মগৌরব প্রকাশ করিয়া থাকি। তাহদের সন্তান বলিয়া আমরা এখনও লোক-সমাজে মুখ দেখাইতে পারিতেছি । আমাদের ত নিজ কীৰ্ত্তি, নিজ গুণ, নিজ লোক-বিস্ময়কর ভাব কিছুই নাই, কেবল তাহাদের নামেই আমরা এখনও লোক-মওলী মধ্যে পরিচয় দিবীর অধিকারী রহিয়াছি । আমাদের যে বল, যে বীর্য্য, যে সাহস, যে তেজ, যে জ্ঞান, যে রীতিনীতি, যদি তাহদের বংশ-সস্তৃত বলিয়। আমাদের পরিচয় দিবার অধিকার না থাকিত, যদি তাহদের পরম তেজোবীৰ্য্যশোণিতের কণামাত্র ও অামাদিগের ধমনীতে ন৷ বহিত, তাহা হইলে নিশ্চয়ই এতদিন বিদেশীয় প্রতাপে, বিদেশীয় সভ্যতায়, বিদেশীয় তেজঃপ্রভাবে আমাদিগকে পবিত্র ভারতক্ষেত্র পরিহারপূর্বক পৃথিবীর কোন অরণ্য বা লোকসমাগম-শূন্য ভূমিকে আশ্রয় করিতে হইত। "আর্য্য" এই বিচিত্র বাধ্য-গৰ্ভ শব্দটা শুনিবামাত্ৰ যেন হৃদয়ে একটা জাতীয় অনুরাগের উদয় হইয়া থাকে।