ভারতের আর্য্যভাব । ΣΣ δ যেন সেই ভাবের সহিত ধৰ্ম্মভাব মিশ্রিত হইয়া, হৃদয়ের ভাবরাশিকে মধুর হইতেও মধুরতর করিয়া তোলে। “আৰ্য্য" শব্দটী জিহবাগ্রে উচ্চারিত হইতে না হইতে, যখন ভারত সজুৎসাহের উত্তালতরঙ্গে নৃত্য করিতে থাকিবে, যখন “আর্থ্য সন্তান” বলিয়া ডাকিবামাত্র দেখিব, আর্য্যtবৰ্ত্ত, ব্রহ্মাবৰ্ত্ত, দাক্ষিণাত্য প্রভৃতি ভারতের দিঙ মওলনিবাসিগণ ধৰ্ম্মভাবে উত্তেজিত ও উৎসাহিত হইয়া একস্বরে উত্তর প্রদান করিবে, তখনই আমরা কৃতার্থ হইব ; তখনই আমরা তাহাদিগের সংকীৰ্ত্তি-কল্পলতিকার স্বরভিকুন্ত্রমাপ্রাণের উপযুক্ত অধিকারী হইব। • • যে দিন আমর গ্রাসাচ্ছাদনাদির জন্য পরাধীন ও পরমুখাপেক্ষী হইয়া থাকিব না, যে দিন স্বদেশ শাসন করিবার জনা আমরা সম্পূর্ণ সমর্থ হইব, যে দিন পীড়া-শান্তির জন্য পশুচাত্য জগতের ঔষধ-প্রতীক্ষায় বসিয়া থাকিব না, ষে দিন দেশীয় রীতিনীতির সংশোধন আবশ্যক হইলে বিজাতীয় প্রণী ও সভ্যতাকে আদর্শ না করিয়া আপন আপনি দেশ, কাল, পাত্র বিবেচনাপূর্বক স্বধৰ্ম্মকে অব্যাহত রাখিয়া স্বদেশ সংস্কার করিতে শিক্ষা করিব, যে দিন তত্ত্ববিদ্যায় পারদর্শী হইয়া জগৎকে বিমোহিত করিতে, এবং জগতের সভ্য জান্তিমাত্রেই জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিক্ষার জন্য ভারতের নিকট ঋণী, ইহা সকলকে প্রত্যক্ষ প্রমাণ দ্বারা প্রদর্শন করিতে পারিব, সেই দিনই আমরা আর্য্যসস্তান বলিয়া পরিচয় দিব্যর উপযুক্ত হইব । যে দিন আমরা "ণৈ গুণত্বমাপন্ধৈৰ্ব্বধ্যন্তে মরদস্তিন: ।”
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।