পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের আর্য্যভাব। ১২৩ রাজা ও ভূস্বামিবর্গ অতি কৰ্ত্তব্যানুরোধে অনুষ্ঠান করিতে প্রবৃত্ত হইবেন, সেই দিন বুঝিব, আর্য্যজাতির নিৰ্ম্মল প্রতিভা আমাদিগের দেশে পুনঃ প্রকাশিত হইতেছে। “শাস্তাঃ সন্ত: সুশীলাশ্চ সৰ্ব্বভূতে হিতেরতাঃ। ক্ৰোধং কৰ্ত্তং ন জানন্তি এতদ ব্রাহ্মণলক্ষণম্ ॥ সন্ধ্যোপাসনশীলশ্চ সৌম্যচিত্তে দৃঢ়ব্ৰত: | সমঃপরেষু চ স্বেযু এতদূত্রহ্মণলক্ষণম্।” যে দিন বর্তমান ভারতের ব্রাহ্মণগণ বুঝিবেন, শান্ত ও স্বশীল হওয়া, সৰ্ব্বভূতে দয়াদৃষ্টি করা, কাহারও প্রতি ক্রোধ করিতে না জান, ইহাই ব্রাহ্মথের লক্ষণ? যে দিন ভূদেবগণ বুঝিবেন, সন্ধ্যা ও উপাসনায় নিরত থাকা, সৌম্যপ্রকৃতি ও দৃঢ়ব্ৰত হওয়া, পরার্থ ও স্বার্থে সমদৃষ্টি করাই ব্রাহ্মণের লক্ষণ, সেই দিনই জানিব, আর্য্যজাতির ব্রহ্মতেজ আবার আমাদিগকে উদ্ভাসিত করিলে । "একান্থাবশ সন্তুষ্ট: স্বল্লাশ স্বল্পনৈপুনঃ । ঋতুকালভিগামী চ এ দৃব্ৰাহ্মণলক্ষণম্ ॥ পরান্নং পরবিত্তঞ্চ পথি বা যদি বা গুহে । অদত্তং নৈব গৃহ্নাতি এতদূত্রাহ্মণলক্ষণম্।।” একবার মাত্র ভোজনে পরিতৃপ্ত, অল্পমাত্র আহারে পরিতুষ্ট, অল্প বা অধিক প্রাপ্তির দিকে না তাকাইয়। সদা সন্তুষ্ট, স্বল্পমাত্র মৈথুনে প্রবৃত্তিযুক্ত, ঋতুকাল ব্যতীত অন্য সময়ে স্ত্রীসঙ্গমে নিবৃত্ত, পরের অন্ন অথবা পরের ধন পণেই পড়িয়া থাক, বা কাহার ও গৃহেই থাক, স্বত্বাধিকারী প্রদান না করিলে তাহা গ্রহণ করিবে না ; বর্তমান ভারতের