পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের আর্য্যভাব। ృR(t সত্য সদৃশ ধৰ্ম্ম নাই, সত্যাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বস্তুও আর নাই, মিথ্যা অপেক্ষ তীব্র বস্তু ইহলোকে আর কিছু নাই ; যে দিন আমরা এই সারগর্ভ উপদেশটা হৃদয়ের ভূষণ করিয়া রাখিব, "সত্যং ব্ৰহ্ম তপঃ সত্যং সত্যং বিস্বজতে প্রজাঃ। সত্তেgন ধার্য্যতে লোক: স্বৰ্গং সত্যেন গচ্ছতি ॥* সত্যই ব্রহ্ম, সত্যই তপস্যা, এই সত্যই প্রজা-স্বষ্টি করিয়া থাকে, সত্যতেই ত্রিলোক স্থির রহিয়াছে, সত্য দ্বারাই লোক স্বর্গে গমন করিয়া থাকে ; যে দিন আমরা সত্যের এই শুদ্ধ আলোক দেখিয়া সংসারের তমোময় পথে আনন্দে বিচরণ করিতে পারিব, সেই দিনই জানিব আৰ্য্যমহিমা আবার ভারতে বিস্তারিত হইল। “ন ধৰ্ম্মকালঃ পুরুষস্য নিশ্চিতে ন চাপি মৃত্যুঃ পুরুষং প্রতীক্ষতে। সদাহি ধৰ্ম্মস্য ক্রিয়ৈব শোভন যদা নরো মৃত্যুমুখেইভিবর্ততে ॥” মৃত্যু মনুষ্যের সময় অসময় বুঝিয়া প্রতীক্ষা করে না, অতএব মনুষ্যের ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের কোন নির্দিষ্ট কাল নাই ; জন্মের পর হইতেই মনুষ্য যখন মৃত্যুমুখবত্মে প্রবেশ করিতেছে, তখন বাল্য, যৌবন, বাদ্ধ ক্য, শুচি, ও অশুচি, সকল সময়েই যথাযথোচিত ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করাই কর্তব্য ; যে দিন আমরা শুদ্ধ হৃদয়ে এই মৰ্ম্মভেদী উপদেশ অনুসারে কার্য্য, ক্ষেত্রে বিচরণ করিতে থাকিব, “এক এৰ সুঙ্গ স্কর্শ্বে নিধনেপাহ্যাতি যঃ । শরীরেণ সমল্লাশং সৰ্ব্বমন্যন্ত গচ্ছতি ॥*