পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծՀԵ- পরিব্রাজকের বক্তৃত। "ধুতীক্ষমাদমোহস্তেয়ং শৌচমিঞ্জিম্বনিগ্ৰহঃ । ধীর্বিদ্যা সত্যমক্ৰোধোদশকং ধৰ্ম্মলক্ষণম্ ॥* ইন্দ্রিয়গণের বহিষ্ণুখীন বৃত্তির বিনিবৃত্তি, দও দিবার ক্ষমতা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষের প্রতি ক্ষমা, বহিরিদ্রিয়সংযম, পরদ্রব্যগ্রহণে অপ্রবৃত্তি, অন্তবর্ণহা শৌচ, • জ্ঞানেন্দ্রিয়রাশির ভৌগলিপসা-প্রবাহের গতিরোধ, নিৰ্ম্মল বুদ্ধি, ব্রহ্মবিদ্যা, সত্য, ও অক্রোধ, এই দশচীকে যে দিন ধৰ্ম্মের লক্ষণ স্থির জানিয়া ধৰ্ম্মের বৃথা বাগবিতও পরিহারপূর্বক ধৰ্ম্মের প্রকৃত অনুষ্ঠানে যত্নশীল হইব, “শ্রীতিমৃতিসদাচার স্ব স্ব চ প্রিয়মাত্মন: | এঃচতুৰ্ব্বিং প্রাহ: সাক্ষাদ্ধশ্বস্য লক্ষুণম্ ॥" বেদকথিত ও বেদানুমোদিত কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের, ও বেদানুকূল স্মৃতির উপদিষ্ট অনুষ্ঠান-রাশির লোকপরম্পরামান্য চিরপ্রচলিত সদাচার-সন্মত ব্যবস্থা, এবং এতাবতানুকূল অনুষ্ঠানপুৰ্ব্বক নিজ-মার্জিত-বুদ্ধি-বিনোদকর কার্য্য-কলাপের অনুষ্ঠানই ধৰ্ম্মের লক্ষণ ; যে দিন শাস্ত্রসিদ্ধ এই কথার যথাযথ সম্মাননাপূর্বক কৰ্ম্ম করিতে সমর্থ হইব, সেই দিনই বুঝিব, বর্তমান ভারতে আর্য্যতেজের পুনরভু্যদয় হইল। আর্য্যজাতি স্বকপোল-কল্পনার বশবর্তী হইয়া কোন কার্য্য করিতেন না । ভগবদ্বাক্য বেদের অনুমোদিত ন৷ হুইলে, অথবা তপঃসিদ্ধবুদ্ধি মহাপুরুষগণের উপদেশ বা আদেশ না পাইলে, ভারতীয় আর্য্যজাতি কোন কাৰ্য্যই করিতে প্রবৃত্ত হইতেন না। পবিত্রতাই উহাদের কার্ধ্যের প্রেরয়িত ছিল । দেহশুদ্ধি, চিত্তশুদ্ধি, ও আত্মশুদ্ধির