ভারতের আর্য্যভাব । ృషిన ব্যাঘাতক কোন কার্য্যই তাহীদের প্রিয় বলিয়া বোধ হইত না। অনাদ্যাশক্তিস্বরূপিনী বিশুদ্ধা প্রকৃতির স্বসন্তান তাহারা, যাহাতে প্রকৃতি মলিন হয়, এমন কোন কার্য্যেই তাহাদের মতিগতি ধাবিত হইত না। যে কাৰ্য্য জীবকে ভগবানের দিকে আকর্ষণ না করে, যে কাৰ্য্য জীবের হৃদয়ে ভগবানের চারুচরণ-চন্দিকা-বিস্তারে বাধা প্রদান করে, সে কার্য্যে র্তাহাদের চিত্ত-বৃত্তি ধাবিত হইত না । তাহার। সকল কাৰ্য্যকেই ঈশ্বরানুকুল করিয়া অনুষ্ঠান করিতেন। . শরীর, মন, প্রাণ, ইন্দ্রিয় প্রভৃতি সমস্তকে একমাত্র ব্রহ্মে সমাধান করিতে পারিয়াছিলেন বলিয়াই তাহার। আর্য্য, র্তাহার শ্রেষ্ঠ, ঠহার। উৰ্দ্ধগমনশীল, ও তাহার উন্নত বলিয়া চিরদিন জগতে সম্মানিত হইয়া আসিতেছেন । তাহার। ভগবদ্ভাব-বর্জিত কেবল পার্থিব উন্নতি-সাধনে পরিশ্রম করিতেন না। ভগবানকে কৰ্ত্তা, ভর্তা, ও বিধাত। জুনিয়া সৰ্ব্বকার্ষ্য-মূলে তাহাকে অধিষ্ঠাত বলিয়া বিশ্বাস করতেন। তাহারা বাহুবল, বুদ্ধিবল, বিদ্যাবল, ও বিত্তবল অপেক্ষ তপোবল, ও তজ্জন্য ভগবানের করুণাবলকে সৰ্ব্বপেক্ষ প্রবল বল বলিয়া জানিতেন। ভগবানকে তাহার। পার্থিব পিতা, মাতা, মুহৃদ, দুহিতা আদি হইতেও পরমাতুীয়ু বলিয়া প্রীতি করিতেন। আর্ধ্যজাতি পরমাত্মাকে ইহপরলোকের পরম সখা জানিয়া—“করামুকবং” প্রত্যক্ষ প্রতীয়মান জানিয়া—প্রাণের সহিত তfহাকে ভালবাসিতেন। ভাবশুদ্ধি ন হইলে তাহাকে আত্মীয়-বোধে প্রীতি করা যায় না, এই জন্য তাহারা সৰ্ব্বদা শুদ্ধাচার-নিরত
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।