পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S-98 পরিব্রাজকের বক্তৃতা। বলা যায় না ; তাহার তখন বোধ হয়, যেন অৰ্দ্ধেক রোগ আরোগ্য হইয়া গেল। বিবিধ বিষম দুঃসহ যাতনায় যখন মানবের মন অত্যন্ত ক্ষুন্ন ও অপ্রসন্ন হইয়া পড়ে, তখন যদি কেহ তাহার কর্ণকুহরে তাহার ভবিষ্যং মুখের আশার সংবাদ প্রদান করে, তবে তাহার সেই কালানল-সদৃশ দুঃখদাবদাহের মধ্যেও যেন অমৃতের ধারা পতিত হইতে থাকে। বর্ষার বারিধারায় আকুল, রাত্রির ঘোরঅন্ধকারময় পিচ্ছিল পথে একাকী পথিক যদি একটা কোথাও দীপ-শিখা ও দেখিতে পায়, অথবা ক্ষণাদ্ধা জন্যও যদি একবার ক্ষণপ্রভার বিকাশ দেখিতে পায়, তাহা হইলেও তাহার ভয়-বিকলিত চিত্তে যথোচিত আশাভরসা ও মূৰ্ত্তির উদয় হইয়া থাকে। ঘোরতিমিরময়ী মহানিশিতে যদি অস্ত্রশস্ত্রধারী দস্তু্যদল আসিয়া কাহারও গৃহ আক্রমণ করে, আর ভয়-বিহবল গৃহস্থ যদি সেই সময়ে চৌকীদারের চীৎকার শুনিতে পায়, তখন তাহার মনে কত যে আশাভরসার সঞ্চার হয়, তাহা কে বলিতে পারে ? গৃহে অগ্নি লাগিলে যদি কেহ অযাচিতরূপে বন্ধুর ন্যায় জলধারা-প্রবাহের যন্ত্র লইয়া দোঁড়িয়া আসে, তবে তখন গৃহস্থের যেরূপ আহলাদ হয়, তাহ অনিৰ্ব্বচনীয়। সে বিপদে হতাশ হইয়াছিল, কিন্তু বারির বেগধারা দেখিয়া তাহার বিপুল বিপদ মধ্যে ও শাস্তির সঞ্চার হইল। মহোদয়গণ । আজ সভাগৃহকে সাজসজ্জায় স্থসজ্জিত, শোভা সৌন্দর্ঘ্যে বিভূষিত, ও আনন্দ-লহরীর লীলাভূমি দেখিয়। মনে হইতে পারে যে, ভারতের এই মহাদুৰ্দ্দিনে—বিষম বিপত্তিকালে-লোকে এত ধুমধাম করিতেছে কেন ? ভার