পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে উৎসব। ১৩৫ তের যে দিকে তাকাও সেই দিকেই দুঃখ দুৰ্ব্বিপত্তির করাল কালানল-কণিকা বিশ্বরিত হইয়া দিগদাহ করিতেছে ! এখন উৎসব কিসের ? মহামারি ও অকাল মরণে, দুর্ভিক্ষে, NG नाबिङ्गा-१६१ ভারত জ্বলিয়া পুড়িয়া খাক হইয়া যাইতেছে! এখন উৎসবের এত ধুমধাম কিসের ? রাজনৈতিক নানাবিধ উৎকট বিভীষিকাময় অত্যাচারের ভৈরব হুঙ্কারে ভারতের হৃৎকম্প উপস্থিত হইয়াছে ; ভারত শিক্ষায় দীক্ষায় বঞ্চিত হইয়া ভিক্ষার ঝুলি স্বন্ধে করিয়া দিগেদশবাসিগণের দ্বারে দ্বারে ফিরিতেছে ; এই দুরবস্থার দিনে ভারতে আবার উৎসব কিসের? -সমাজের অবস্থা অতি কলুষিত ! ভ্ৰাতায় ভুতায় সামান্য বিষয়-লোভে অন্তৰ্ব্বিবাদনল প্রজ্জ্বলিত করিয়া আপনাপনি দগ্ধ হইতেছে, স্ত্রীপুরুষের কুশল কথা প্রায়ই শ্রত হওয়া যায় না, পিতা পুত্তে, মায়ে ঝিয়ে, শ্বাশুড়ী বৌয়ে, প্রীতির সংবাদ প্রায়ই পাওয়া যায় না ; কন্যার বিবাহে বিপুল পণের বিষম জ্বালায় সমাজ অন্তঃসার-শূন্য হইয়া পড়িতেছে ; সামাজিক এই ক্লেশের দিনে এত উৎসবের ধুম পড়িয়া গেল কেন ? ধৰ্ম্ম-জগতের প্রতি অণু পরমাণু পৰ্য্যন্ত কত লোকের বিষায়িত্ত্বালাময় বলিয়া বোধ হইতেছে। স্বধৰ্ম্মাচার ও ভগবদুপাসন। ইহা মুঢ়জনোচিত ও বিড়ম্বন-বোধে কত লোকে পরিত্যাগ করিয়া অলক্ষিত ভাবে মহারৌরবের জ্বালামালাময় সন্তাপ-সাগরের দিকে ছুটিতেছে । এই দুঃখদুৰ্দ্দিনের ক্রীড়াভূমি বর্তমান ಆತ್ಯಕ 45 উৎসবের ধুম পড়িয়া গেল কেন ? কঁদিবার দিনে পাগলের মত এত হাসিমাখা মুখ কেন ? মাথায় হাত