8 পরিরাজকের বক্তৃত। তালে চলিতে ফিরিতে, তাহারই আজ্ঞায় জাগিতে শুইতে, শিক্ষা করিয়া থাকে। স্থানীয় জল বায়ু তাপাদির বিশেষ বিশেষ শক্তি ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় ভিন্ন ভিন্ন আকৃতি ও প্রকৃতি সংগঠন করিয়া দেয় । পৃথিবীর হিম-প্রধান দেশে যাহার জন্ম গ্রহণ করেন, তাহাদের যেমন চৰ্ম্ম, কেশ, ও চক্ষুরাদির বর্ণ হয়, উষ্ণ-প্রধান ভুখওজাত মানবগণের তাদৃশ বর্ণ হয় না। উভয় জাতির আকৃতিগত বিভিন্নতা, ভাষাগত বিভিন্নত, ভাবগত বিভিন্নত, এ সমস্তই ভিন্ন ভিন্ন স্থানের ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতি-সস্তুত ; ইছা স্বভাবসিদ্ধ ও অনিবাৰ্য্য। আফ্রিকাতে যেমন ফুটুফুটে গৌরবর্ণ একটা মানব জন্মান , কঠিন, পৃথিবীর উত্তর খণ্ডে তেমনি একজন কৃষ্ণকায় মনুষ্য জন্মানও অসম্ভব। পৃথিবীর যে দেশেরই ভৌতিক প্রকৃতি বিচার করিয়া দেখি, সেই দেশেই বাহ্য প্রকৃতির এক একটী অঙ্গ বিশেষ প্রবল বলিয়া বোধ হয় । কিন্তু ভগবাrের বিচিত্র বিহার-ভূমি ভারতবর্ষে সেরূপ দৃষ্ট হয় না। কি জানি, ভগবান কিরূপ লাদণ্ডে তোল করিয়া তাহার অনন্ত শক্তি-রাশির অনন্ত বিকাশ-ভাওীর সাম্যাবস্থায় এই ভূমিতে স্তরে স্তরে থরে থরে সাজাইয়। রাখিয়াছেন। অন্যান্য দেশের কোথাও কেবল কৃষ্ণ বর্ণ, কোথাও বা কেবল গোঁর বর্ণ, কপিশ বর্ণ অাদির মেলা বসিয়াস্থে", কিন্তু ভারতে কৃষ্ণ বর্ণ, তাম বৰ্ণ, উজ্জ্বল গুণম বর্ণ, গৌর বর্ণ, অতি গৌর বর্ণ, অথবা পৃথিবীর কোষে যত বর্ণমালা আছে, সকল বর্ণেরই ঢেউ খেলিয়া ভারত-মহিমাকে অবর্ণনীয়
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।