পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8o পরিত্রাজকের বক্তৃতা। —I নরক-ভোগ আছেই, এই বেলা এই বেটাকে জব্দ করিয়া দিই, লোকের যম-যাতনা পাইবার জড় মিটাইয়া দিই, আর বলিল, বলীবর্দ! তুমি বলপূৰ্ব্বক তোমর মুতীক্ষ্ণ শৃঙ্গাঘাতে এই যমরাজকে খণ্ডবিখও করিয়া দাও, আজ্ঞাবহ বলীবর্দ বেগে যমরাজের দিকে ছুটিল, যমরাজ ভয়ে ভাত হইয়া দোঁড়িয়া পলাইলেন, বলীবর্দ ও পশ্চাতে বেগে ছুটিল। যমরাজ ভয়ে যমলোক ছাড়িয়া এ লোকে সে লোকে ছুটছুটি করিতে লাগিলেন, বলীবর্দ ও তাহাকে মারিবে বলিয়। তাহার পশ্চাতে পশ্চাতে দোঁড়িতে লাগিল। ভয়-বিহবল যমরাজ কোন লোকে যাহার ও দ্বারা এই বিপদে নিজের রক্ষার উপায় না দেখিয়া প্রাণভয়ে দোঁড়িয়া বিষ্ণুলোকে উপস্থিত হইলেন। ব্রাহ্মণ বলীবর্দ সহ মার মার শব্দে বৈকু১ে গিয়া উপস্থিত। যমরাজের চীংকারে, ব্রাহ্মণের মার মার শব্দে, এবং উৰ্দ্ধপুচ্ছে ধারমান বলীবদের গভীর নিনাদে বৈকুণ্ঠে একট। মহাহুলস্থল পড়িয়া গেল। রত্নবেদিকীয় বসিয়া পদ্মালয় লক্ষী ভগবান বিষ্ণুর পদসেবা করিতেছিলেন । ব্রাহ্মণ বলীবর্দকে বলিল, যমরাজকে ছাড়িয়া এই মেয়েটাকে তাড়া কর । অমনি বলীবর্দ লক্ষীর দিকে দৌড়িল ৷ লক্ষী ভয়-বিহবলা হইয়া কোথায় যান, কি করেন, কিছুই ভাবিয়া ঠিক করিতে পারিলেন না, অবশেষে রক্ষা কর রক্ষ কর বলিয়। বিষ্ণুর কাছে করযোড়ে প্রার্থনা করিতে লাগিলেন । বিষ্ণু ত্রিলোক-জননীর বিপদে ব্যস্ত হইলেন। বৈকুণ্ঠের রত্নগি হাসন ট্রলিয়া উঠিল। যমের চীংকারে, বুলীবর্দের চাংকারে, মহালক্ষীর চীৎকারে, ব্রাহ্মণের কোলা