পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ş88. পরিব্রাজকের বক্তৃতা। মাতিতে পারি, যদি মুহূৰ্ত্ত জন্যও ধৰ্ম্মোৎসবরূপ উৎসের প্রবাহিত পবিত্র ভাবের নিৰ্ম্মল সলিলে অবগাহন করিতে পারি, তাহা ইইলে জানিবেন, ত্রিতাপ-জ্বালা জন্মের মত নিবারিত হইয়া যাইবে । যে খানে জ্বলন্ত উৎসাহ, যে খানে নানা শোভন সামগ্রীর আয়োজন, যে খানে আনন্দের মহারোল, সেই স্থানই উৎসবময়। উৎসব নানা সুখের জনয়িত । উৎসব কেবল বাহিরের ব্যাপারই নহে, উহা ভিতরের তরঙ্গ-স্তবকের বিকাশ মাত্র। কাৰ্য্যকারণ-ঘটনার ভিতরে যে ছবি অঙ্কিত হয়, বাহিরে তাহার প্রতিচ্ছবি আপনিই প্রকাশিত হয়। ভিতরে দুঃখ হইলে বাহিরে চক্ষে জল-ধারা বহিতে থাকে। ভিতরে ক্ৰোধ হইলে বাহিরে ওষ্ঠাধর বিকম্পিত ও নয়ন আরক্তবর্ণ হয়। ভিতরে স্ফৰ্ত্তির উদয় হইলে, বাহিরের মুখখানি ঢল ঢল ও হাসি হাসি হইয় পড়ে। অরণ্যের ভিতরে ফুল ফুটিলে বনের বাহিরের চারি দিকও আমোদিত করিয়া তুলে । ভিতরে সুখের বাতাস বহিতে থাকিলে বাহিরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পুলকে পূর্ণিত হয়। আমাদিগের বাহিরে নিরানন্দের অন্ধকার ঘিরিয়া থাকিলেও ভিতরে অবশ্যই আনন্দের আকরভূমি বিদ্যমান আছে, সেই আনন্দধাম হইতেই উৎসবের উৎস উদিগরিত হইয়া আজ বাহিরে প্রবাহিত হইয়াছে । আমরা কিন্তু সাধারণতঃ আমাদের সম্মুখে সংসাররূপ মহাশ্মশানানল হইতে দুঃখের চিতা-ধূমই অনবরত উদগীর্ণ হইতে দেখিতেছি। স্থল দৃষ্টিতে আপাততঃ এইরূপ বোধ হইলেও যখন তত্ত্ব-সাগরের গভীর হইতে ও গভীরতর গর্ভে