পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে উৎসব। Y89 ডুবিয়া যাই, যখন তলাতল ভেদ করিয়া অতল তলে তলাইয়া যাই, তখন মুখ-সাগরের মহামূল্য রত্বরাজি দেখিতে পাই। বাহিরে বালুক-রেণু ছাইয়া থাকিলেও ফন্ত্ৰনদীতে তলে তলে জল বহিয়া যাইতেছে। বাহ বিদ্যা-বুদ্ধি-জ্ঞানের বালুকা-স্তর ভেদ করিয়া দেখ, কেমন সুশীতল জল দেখিতে পাইবে । আমরা যখন জলের জন্য কূপ খনন করিয়া থাকি, তখন অনেক দূর পর্য্যস্ত কঠিন মাটি কাটিতে হয়, তখন জলের নাম গঙ্গও দেখিতে পা ওয়া যায় না । ধৈর্য্য ধরিয়া যখন আরও মাটি কাটিতে থাকি, তখন ভূগর্ভস্থ বালুক-স্তর বাহির হইয়া আইসে-তখনই বা জল কোথায় ? আশার যষ্টি অবলম্বন করিয়া আরও ভূতল ভেদ করিয়া চলিয়া গেলে কর্দমময় দল দল দেখা দেয় । কাদামাটি মাখিয়। আর একটু কাটিয়া তলায় চলিয়া যাও, ঝির ঝির নিৰ্ম্মল নীর-ধারা দেখিতে পাইবে । সেইরূপ মানবের অন্তস্তল-গর্ভে আনন্দের স্বধা-ধারা-প্রবাহ আছে । অন্নময়, প্রাণময়, মনোময়, বিজ্ঞানময় কোষ উদঘাটিত করিয়া ভিতরে প্রবেশ কর, আনন্দময় কোষ দেখিতে পাইবে, তাহারই তলে ত্ৰিতাপজ্বালা জুড়াইবার গুপ্তধার। বহিয়া যাইতেছে। মানব ! এই ধারার তুফান উঠিলে, এই ধারার তরঙ্গ ছুটিলে, দশদিক প্লাবিত হইয়া যায় ; স্বর্গ, মৰ্ত্ত, পাতাল এক হইয়াযায়। কুপ-খননের প্রথমেই যেমন মাটি, তেমনি প্রথমে পঞ্চভূতময় অন্নময় কোষ, তার পর বালুকা-স্তর প্রাণযুয় কোষ, তার পর দল দল কর্দম মনোময় কোষ, তার পর ঝির ঝির জলধারা বিজ্ঞানময় কোষ, তৎপরে আনন্দ