S88 পরিব্রাজকের বক্তৃতা। ময় কোষ ভেদ করিলেই চিরপ্রেমানন্দের ফোয়ার খুলিয়। যায়। সদৃগুরুর কৃপায় আত্মার নিত্য নিরবচ্ছিন্ন মানন্দলহরী যখন জীবের দৃষ্টিগোচর হইবে, তখনই জীরের জীবন উৎসবময় হইয়। যাইবে । তোমার একটা স্নকুমার কুমার জন্মগ্রহণ করিলে তোমার মুখের সীমা থাকে না, আবার তাহার কৰ্ম্মাবসানে সে কালকবলিত হইলে তোমার শোক-সাগর উথলিয় উঠে। পুত্র ত তোমার পূর্ব-পরিচিত নহে, তাহার সহিত ত কখন দেখা শুনা ছিল না, তবে তাহাকে পাইয়া তোমার এত আহলাদ হইল কেন ? সে জীব কোন দেশ হইতে আগন্তুক অতিথির ন্যায় আসিয়া তোমার পুল্লত্ব স্বীকার কুরিল, তাহ কে জানে ? অতিথি আসে, আবার চলিয়া যায়, কৈ তাহার জন্য কেহ ত কখনও কাদিয়া আকুল হয় না। তবে তুমি এই পুত্রকে পাইয়া স্থখী, এবং হারাইয়া দুঃখী হও কেন ? যদি বাহ্যশরীর-রূপী পুত্রকে পাইয়াই তুমি সুখী হইয়া থাক, তবে তোমার দুঃখ করিবার কোন কারণ নাই ; কেন না, পুত্রের শরীর ত তোমার কাছেই পড়িয়া রহিল, পুত্রের যে জিনিস বাহির হইয়া গিয়াছে, কৈ তাহার সহিত ত কখনও তোমার আলাপ বা আত্মীয়তা হয় নাই। অপরিচিতের বিয়োগে তুমি শোকাপ্ত হইলে কেন ? তোমার বালক-পুত্র যখন কৈশোর অতিক্রম করিয়া যৌবন দশায় উপস্থিত হইল, তখন বালক-পুত্রের অভাবে তুমি কাদিলে কৈ ? আবার যৌবন অতিক্রম করিয়া তোমার পুত্র যখন বৃদ্ধ হইল, তখন যুবা পুত্রের জন্যই বা তুমি কঁদিলে কৈ ? এক্ষণে বিচার
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।