ভারতে উৎসব | S9 (t বুদ্ধিতে বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, বাহ্যশরীর রূপী পুত্রকে আমরা ভালবাসি না ; আমরা ভালবাসি সেই জিনিসটাকে যাহার সহিত আমাদিগের কখনও দেখা শুনা নাই, যাহা না থাকিলে শরীর থাকে না । বস্তুতঃ, কেবলমাত্র শরীরে কাহারও পুত্র-বুদ্ধি নাই। বিদ্যালয়ে শিক্ষাকালে বালক যদি গুরুকর্তৃক তাড়িত, শাসিত, ও দণ্ডিত হয়, তবুও পুত্র বিদ্যাবান হইবে বলিয়া তাহার শারীরিক ক্লেশের দিকে কেহ তাকাইল না। এ সময় পুত্রের মনের উৎকর্ষের দিকে সকলের দৃষ্টি, অথবা মনোময় পুত্রের দিকে সকলের যত্ব। আবার লেখাপড়া-শেখা পুত্র যাদু নীতিপরায়ণ ধৰ্ম্মপরায়ণ বা জ্ঞানবান না হয়, তাহ হইলেও বড় দুঃখ, তখন আত্মারূপী পুত্রকে সকলে ভালবায়িয়া থাকে। ধীরে ধীরে দৃষ্টি দূর দেশে সঞ্চারিত করিলে সকলেই দেখিতে পায় যে, পুত্র বল, কন্যবল, পতি বল, পত্নী বল, পিতা বল, মাত বল, প্রভু বল, ভূত্য বল, সখ। বল, আর স্বস্ব বল, সকলই ভালবাসার রশিী-রাশি আত্মারূপ কেন্দ হইতে নিঃসারিত হইতেছে । একট। গুরুভার পদার্থ-পিণ্ডকে আকাশের দিকে যতই বল ও বেগ সহ উৎক্ষেপ কর না কেন, সে উৰ্দ্ধাতিউর্দ্ধ দেশে যত দূর পারে উঠিয়া যাউক না কেন, পৃথিবীর দিকে আবার তাহাকে আসিতেই হইবে। তাহার গুরুত্ব পৃথিবীর আকর্ষণশক্তির সহিত চিরসম্মিলিত । এই আকর্ষণ-—এই ভালবাসার গুণে তাহার গতি ধরাভিমুখে না হইয়া থাকিতেই পারে না। বাহ হইতে অভ্যন্তরের দিকে ধাবমান হওয়া ভালবাসা-প্রকৃতি। ভালবাসা অন্তমুখী, তাই পুত্রের শরীর
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।