ভারতের মূর্ছাভঙ্গ । (t করিয়া তুলিয়াছে । ভারত যেমন স্বষ্টি-বৈচিত্রের পূর্ণ লীলা-ভূমি, এমন আর পৃথিবীতে দ্বিতীয় দেখিতে পাওয়া যায় না । উত্তঙ্গ-শৃঙ্গ-নিকুঞ্জ-সহিত ভারতের পর্বতমালার নিকট ভূমণ্ডলের সমস্ত শৈল-শিখর মন্তক অবনত করিয়া রহিয়াছে। গন্ধপুষ্পে সুশোভিত, বিচিত্র সৌরভে আমোদিত, ভারতের কুঞ্জ-কানন-কদম্ব নাট্য-নায়িকা-বেশে ত্ৰিজগতের মন ভুলাইতে যেমন সক্ষম, পৃথিবীর কোন বন, উপবন তাদৃশ রূপের ছটা লইয়। তাহুদের পরিচর্ষ্যার আসন ও গ্রহণ করিতে পারে না। ভারতের ভূভাগ যত প্রকারের উদ্ভিদ ও শস্য প্রসব করিতে সমর্থ, পৃথিবীর কোন একটা এখন দেশ পাওয়া যায় না, যে তাহার প্রতিযোগিতা বরিতে সমর্থ হয়। অতি শীতে পৃথিবীর কত দেশ চির দিন থর থর কঁাপিতেছে, অতি তাপের ভূখল-মালায় কত দেশ বিদগ্ধ হইয়া যাইতেছে ; কিন্তু ভারতের বিচিত্র প্রকৃতিতে সকল ঋতুই—গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, (ಸತ, শীত, ও বসন্ত, সখ্য-ভাবে সকলে হাত ধরাধরি করিয়া নিয়ম পুর্লক যথা সময়ে নৃত্য করিয়া বেড়াইতেছে। এ দেশ সকল দেশের আদর্শ-ভূমি ; অথবা ভারত ক্ষেত্রকে লোক-নিবাসের পূর্ণ তাদর্শ-স্থল বলিলে ও হয় । যদি মরুভূমির বিকট লীল দেখিতে ইচ্ছা হয়, তবে বিকানীর eীশ হিসলাজের পথে গমন কর ; যদি ইউরোপীয় সদা জলকণাসিক শাত বাত-প্রবাহে বিহার করিতে সাধ হয়, তবে আসাম, চিরাপুঞ্জী প্রভূতিতে চলিয়া যাও ; যদি শিশির উপভোগে বিলাত-বাসের বাসন মিটাইতে চাও, তবে
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।