ভারতে উৎসব । Y88) তোমার আমার চক্ষু—ষাহ দেখিবে তাহাই পদার্থের স্বরূপ, তখন তুমি তাহাকে সুন্দর, আমি তাহাকে কুৎসিত আর বলিব না, তখন আমরা উভয়েই দেখিব, সে সুন্দরও নহে, কুংসিতও নহে, সে চিদম্বনানন্দ বিগ্রহ। ঐ দেখ বহুদিন তুমি বৈরীবুদ্ধি বশতঃ যাহার মুখাবলোকন করিতে না, দুর্গোৎসবের বিজয়া-দশমীর দিন সে তোমার গৃহে গিয়া সম্পর্ক অনুসারে তোমাকে প্রণাম করিল, তুমিও তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিলে—প্রেমালিঙ্গন করিলে, আবার তাহাকে স্বচক্ষে দেখিলে। যদি শত্রুত সেই ব্যক্তির প্রকৃতিগত ধৰ্ম্ম হইত, তাহা হইলে বিজয়-দশমীর উমসবের দিনে সেই শক্রকে আবার মিত্র-বোধ করিলে কিরূপে ? তোমার মনের বৈরিতাবুদ্ধি দুর্গোৎসবের পবিত্রশক্তির মহিমায়, বিজয়া-দশমীর পবিত্র অবকাশে বিনষ্ট হইয়া গেল, মৈত্র-ভাবের উদয় হইল, তাই যাহাকে শত্রু বলিয়া প্রথমে বুঝিতে, তাহাকেই আজ মিত্র বলিয়া স্বীকার করিলে। উৎসব অলসকে উদ্যোগী করিয়া দেয়, অভাবযুক্তকে প্রভাবযুক্ত করে, অচেতনকে সচেতন করিয়া দেয়, উগ্রকে মৃদু করিয়৷ দেয়। উৎসব কঠোরকে কোমল করিয়া দেয়, খলকে সরল করিয়া দেয়, গরলকে সুধা করিয়া দেয়। উৎসব চু্যতকে অচু্যত স্থানে লইয়া যায়, ছিন্ন বিচ্ছিন্নকে একত্রিত ও সম্মিলিত করিয়া দেয়, জড়কে গতিযুক্ত করিয়া দেয়। উৎসব তিলকে মিষ্ট করিয়া দেয়, দীনকে সম্পন্ন করিয়া দেয়, ধৃষ্টকে শিষ্ট করিয়া দেয়, নিদ্রিতকে জাগ্রত করে, ও নষ্টকে বিশিষ্ট করিয়া দেয়। উৎসব পৈতন্যের পরিবর্তে ঋজুতার
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।