১৫০ পরিব্রাজকের বক্তৃত। বৃদ্ধি করে, বন্ধকে মুক্ত করে, ব্যথিতকে আনন্দযুক্ত করে, ভয়ানককে আমোদপ্রদ করে, মলিনকে উজ্জ্বল করে, ও মৃতকে পুনর্জীবিত করে। উৎসব যন্ত্রণাযুক্তকে উৎফুল্প করে, রোরুদ্যমানকে হাস্যযুক্ত করে, লালসাযুক্তকে সন্তোষযুক্ত করে। উৎসব শক্রকে মিত্র করে, শূন্যকে পূর্ণ করে, সত্তপ্তকে স্বশীতল করে, হীনকে প্রধান করে, এবং ক্ষীণকে তেজীয়ান করিয়া থাকে । উৎসবের শক্তি আশ্চৰ্য্য ও অনিবাৰ্থ্যবীর্ধ্য-প্রস্থতি । সভ্য মহোদয়গণ স্বখ পাইবার যাহাদিগের ইচ্ছ, তাহারা বাহিরে অনৃেষণ করলে কোথাও তাহ পাইবেন না । সুখের ভাণ্ডার ভিতরে আচ্ছাদিত কুঁহিয়াছে। বাহিরের উপায় দ্বারা দুঃখ দূর করিবার চেষ্টা বৃথা । দুঃখের মূল ভিতরে—মনের ভিতরে রহিয়াছে, তাহ উৎখাত করিতে না পারিলে সুখের দেখা পাইবেন কোথা ? ভগবান দয়া করিয়া সুখের স্থবা-ভাণ্ডার সকলেরই নিজ নিজ মনোময় মণিমন্দিরে সংস্থাপিত করিয়া রাখিয়াছেন, সে ভাণ্ডার সর্বদ। ভরপুর জানিবেন। দুঃখ মিটাইবার জন্য ও স্বখলাভের নিমিত্ত কাহাকেও পরমুখাপেক্ষা করিতে হয় না। অভিমানী জীব আমরা, লোকের কাছে নিজ মৰ্য্যাদা রক্ষা করিতে গিয়া কত সময়ই যে আমরা নিতান্ত উদ্বেজিত হই, তাহ বলিতে পারি না। তুমি যদি ‘গভর্ণর জেনারলের লেভিতে বসিবার অধিকার নাই পাইলে, তাহাতে তোমার অমৰ্য্যাদা কি ? তুমি যদি সভা মধ্যে ত্রকট উচ্চ আসন না পাইলে, তাহ:তেই বা ক্ষতি কি ? কত কীট পতঙ্গ ত মন্দিরের উচ্চ চূড়ায়
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।