পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে উৎসব । S(tS) মাখা স্বনিৰ্ম্মল শুভ্র মূৰ্ত্তি ধারণ করবে, আজ মহাশ্মশান কাশী-স্বর্ণপুরী হইবে। আনন্দ বল, উৎসব বল, সমস্ত তাহকেই লইয়া। পবিত্র ভারতবর্ষ—তপস্তেজঃপূর্ণ ভারতবর্ষ— বিচার-বৈরাগ্য-যুক্ত ভারতবর্ষ— সাধন-সিদ্ধ ভারতবর্ষ— উহাকে ফেলিয়া, তাহাকে ভুলিয়া, কখনও উৎসব করে নাই । ভারতের সমস্ত উৎসবই মহামহোৎসবময় অধ্যাত্ম জগতের আলোক-ছটায় পরিপূর্ণ স্নচারু পূর্ণচন্দ্রের স্বশীতল কিরণ-মালা মাত্র। ভারতের ভিতরে মহোৎসব, তাই ভারতের বাহিরেও তাহার মৃদু মধুর বাদ্যধ্বনি শ্রত হওয়া যায়। ভিতরের উৎসবের সৌরভ না, ফুটিলে বাহিরের উৎসবে চিত্ত আমোদিত হইবে কেন ? ভিতরের ঝরণ না ফুটিলে বাহিরে শীতল ধারা বহিবে কেন ? যাহারা এই বিষ্ণুপাদোদকী উংসব-গঙ্গায় অবগাহন করিতে আসিয়াছেন, এবং স্নামে হৃদয় স্নিগ্ধ করিবেন, তাহারাই ধন্য, তাহারাই কৃতার্থ। জড়বাদিগণ বাহিরের পদার্থ ও তন্নিহিত শক্তি ব্যতীত আত্মশক্তি বলিয়া একটা বিশেষ শক্তি স্বীকার করিতে চাহেন না। জড়বাদী অবশ্যই ইহা স্বীকার করেন যে, আমাদের সম্মুখে যত বস্তু রহিয়াছে, সেই বস্ত্র স্বরূপতঃ আমাদিগের নেত্র-গোচর হয় না । বস্তু কি, আমরা দেখিতে পাই না । বস্তুর গুণের দ্বারাই বস্তুর তত্ত্ব নিরূপিত হইয়া থাকে । বস্তুকে আশ্রয় করিয়া যে রূপ, যে ব্যাপকতা, যে উচ্চতা, যে দীর্ঘত, যে প্রশস্ততা আদি গুণ রহিয়াছে, তাহাই আমাদিগের ইন্দ্রিয়ের গোচরীভুত হয় । বস্তুর গুণ ও বস্থর শক্তি বুঝিলাম বটে, কিন্তু বস্তুর, স্বরূপ দেখিতে পাইলাম