S(t3 পরিব্রাজকের বস্তৃত। কৈ ? বস্তুর শক্তিকে আমরা আদর করি বটে, কিন্তু বস্তুকে আমরা অাদর করিতে পাই কৈ ? আমরা পদার্থকে ভালবাসি না, আমরা পদার্থের শক্তি লইয়াই—গুণ লইয়াই কাৰ্য্য সাধন করিয়া থাকি। পদার্থ নহিলে গুণ বা শক্তি স্বতন্ত্র ভাবে ব্যবহার করিতে পারি না, তাই পদার্থের যাহা কিছু খাতির করিয়৷ থাকি। জ্বর হইলে কুইনাইন খাও কেন ? কুইনাইনে জ্বরত্নতারূপ শক্তি আছে বলিয়। কুইনাইন অতি পুরাতন হইয়া গেলে যখন ঐ শক্তি কমিয়া যায়, তখন সে কুইনাইনকে আর কে আদর করে ? কোন ডাক্তার তাহাকে আর 'আলমায়ক্ষত্ৰ' মধ্যে রাখে? কোন রোগী বা সেই কুইনাইন পয়সা দিয়া ক্রয় করে ? বস্তুতঃ জগৎ বস্ব-প্রিয় নহে, বস্তু-শক্তিরই উপাসক ; জগৎ শক্তিরই সেবা করিয়া থাকে। শক্তি-শূন্য বস্তু অবস্থ, আবর্জন মাত্র। বাহিরের জগং একটা আবরণ বা খোসা মাত্র । শক্তিজলসঞ্চারের একটা যন্ত্র মাত্র । বাহিরের স্তর ভেদ করিয়৷ শক্তির অনন্ত স্তরের অভিমুখে পাদিত হও, দেখিতে পাইবে, সুর্ঘ্য হইতে যেমন কিরণ-জাল বিকীর্ণ হইয়। জগতের অণু-পরমাণুর দিকে ছুটিতেছে, সেইরূপ ত্ৰিজগংপ্রকাশক অন্তরাত্মারূপ ভানু হইতে এই শক্তির কিরণমালা বহিজগতের দিকে ছুটিয়া আসিতেছে, ও জগং কে স্থিত ও প্রকাশিত রাখিয়াছে । তাহারই লোকালোকবন্দিত স্নচারুসত্তা-স্বধাসিন্ধু হইতে উচ্ছলিত হইয়া মহানন্দের প্রবল প্রবাহ অবিদ্যার কালিঝুলিমাখা জীবকে ধোয়াইয়া, নাহাইয়া, সাজাইয়া, গুছাইয়া দিতেছে ; তাই
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।