পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে উৎসব। S(t(t সেই সাধুজীবের বর্ণ ফুটফুটে হইয়াছে, মুখ ঢল ঢল—প্রেমে টল টল, ও নেত্ৰ সজল হইয়াছে, তাই উৎসবে—আহলাদে– প্রেমানন্দ অঙ্গ ঢলিয়া পড়িতেছে । আমরা আধারকে আদর করি কেন ? আধেয় শক্তি তাহা হইতে পাইব বলিয়া । ইক্ষুকে মিষ্ট বলি কেন ? ইক্ষুরূপ আধারে রসরূপ মিষ্টশক্তি আছে বলিয়। চক্ষুকৰ্ণাদি-যুক্ত এই শরীর ইক্ষুদও-স্বরূপ, তাত্মা মধুর হইতেও সুমধুর রস-স্বরূপ। শ্রুতিও আত্মাকে “রসে৷ বৈ সঃ" বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন । ভগবানের নামসাধন করিয়৷ যাহার জিহা নিৰ্ম্মল হইয়াছে, তিনিই এই রসাস্বাদনে সমর্থ, তিনিই এই রসেল মধুরতা বুঝিতে পারেন। যে দিনই কেহ এই রসসিন্ধুর স্বধাবিন্দু পান করিবেন, সেই দিনই তাহার ত্রিতাপ-তপ্ত মনঃপ্রাণ জুড়াইয়। যাইবে, নীরস জীবন সরস হইয়া উঠিবে। হৃৎকন্দরে লুক্কায়িত নিভূত এই নিত্য নন্দ-নিঝরিণী হইতে যে দিন সুখ-সুধার ধারা বহিয়। বাহিরে আসিবে, সেই দিনে বিশ্বব্রহ্মাও আনন্দে অfপ্লাবিত হইয়। যাইবে । সংসারে মাহ। আপাততঃ সুখ বলিয়া অামাদের প্রতীতি হয়, তাহা হইতেই পরিণামে দুঃখ উৎপন্ন হইয়া থাকে। যাহাতে দুঃখের লেশমাত্র নাই, এমন সুখ জগতে কোনও ভোগী পুরুষ ভোগ করিতে পায় না। মহাস্থখসস্তোগকালে ও দুঃখের স্মৃতি ও নানা প্রকার ভয়ভাবনা আসিয়া দুখ-ভোগের বিঘ্ন উৎপাদন করিয়া থাকে। সুখের সমাগমে মুখ, ভোগকালে স্থখ, কিন্তু বিয়োগকালে দুঃখ ; আবার দুঃখের সমাগমে দুঃখ, দুঃখ ভোগকালে দুঃখ, কিন্তু দুঃখ