>(tぐ3 পরিব্রাজকের বক্তৃতা। বিয়োগকালে মুখ হইয়া থাকে। ত্রিকালে কেবল মুখ এমন স্থখ সংসারে নাই। দুঃখমাখা মুখ যে মুখের নহে, ইহা কাহাকেও বুঝাইয়া দিতে হইবে না। যাহার প্রারস্তে মুখ, প্রবাহে মুখ, এবং পরিণামে সুখ, তাহাই প্রকৃত সুখ । বরফ যেমন পূৰ্ব্বে ও জল, মধ্যেও জলময়, পরিণামেও জল, সেইরূপ যে সুখ দুঃখলেশ-পরিবর্জিত ও নিত্য নিরবচ্ছিন্ন, সেই মুখই জীব প্রার্থনা করিয়া থাকে। আর্য্যজাতি প্রকৃতির সমস্ত স্তর ভেদ করিয়া দেখিয়াছিলেন, গুহ্যাতিগুহ্য নিভূত তত্ত্ব-বিচার করিয়া বুঝিয়াছিলেন যে, ধৰ্ম্মানুষ্ঠান ব্যতীত কোন মতেই প্রকৃত মুখের মুখ দেখিতে পাওয়া যায় না। কোন ধৰ্ম্মানুরাগী পুরুষ যখন একাদশীর উপবাসরূপ ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করেন, তখন বাহিরের লোক হয়ত ভাবিতে পারে, উপবাসে তাহার যথেষ্ঠ কষ্ট হইতেছে ; কিন্তু ধাৰ্ম্মিক পুরুষ তাহাতে কষ্টবোধ করেন না, বরং তিনি ইহাই মনে করেন যে, আজ তাহার বড় শুভ দিন যে, আজ তিনি হরিপদ-আরাধনার জন্য আহার সংযম করিবার অবকাশ পাইয়াছেন । প্রেমের দৃষ্টিতে তাহার অন্তরাত্মা অতিশয় প্রফুল্ল হয়। র্যাহার বাড়ীতে দুর্গোৎসব, তিনি যখন ব্রাহ্মণ-ভোজন করাইতে ও দীন দুঃখীকে অন্ন বিতরণ করিতে ব্যস্ত থাকেন, তখন সমস্ত দিনের মধ্যেও হয়ত তাহার বিন্দুমাত্র জলগ্রহণও ঘটিয়া উঠে না, ইহাতে তিনি কি কষ্ট অনুভব করিয়া থাকেন ? বরং সেই উপবাসে তিনি আপনাকে কৃতার্থ মনে করিয়া আনন্দিত হুইয়া থাকেন। এইরূপ ব্রত ও ব্রাহ্মণ-ভোজনাদি
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।