পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

×ყo পরিব্রাজকের বক্তৃতা। নিনাদ হইয় উঠে, চারিদিকে ধুপ ধুনীর সৌগন্ধ ছুটে, আরতির দীপমালা যখন জ্বলিয় উঠে, তখন অবসন্ন চিত্তও প্রসন্ন হইয়া দাঁড়ায়। আর্য্য ঋষিমুনিগণ দীনদুঃখীর প্রতি দয়া করিয়াই অন্তর্জগতের গুপ্ত গৃহে আনন্দ-ছটার ছায়া লইয়াই উৎসব-রাশির ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। যোগী, মুনি পরমানন্দ-সাগরে ডুবিয়া রস-সাগরে আপনাকে নিমগ্ন করিয়া যে রত্নমালা পাইয়াছিলেন, তাহাই দীনদুঃখীকে বিনা মূল্যে বিতরণ করিবার জন্য উৎসবের উদেঘাষণা করিয়াছেন । ভগবৎসেবা করিতে করিতে যে গুপ্ত ভাণ্ডারের অমূল্য গুপ্তনিধি পাইয়াছিলেন, যে অধ্যাত্ম যাগে পূর্ণাহুতি দিয়া মহোৎসবে মত্ত হইয়াছিলেন, দীবদিগের প্রতি দয়া করিয়া তাহারই অধিকারী করিবার জন্য উৎসবের সঙ্কেতে সেই গুপ্ত গৃহের দ্বার উদঘাটিত করিয়া গিয়াছেন। তাহার দয়ালু ছিলেন, তাই আমরা না চাহিতে, আমাদের সুখের সোপান খুলিয়া দিয়া গিয়াছেন। সংসারে বিপুল ধনের অধিকারী তুমি, কয় জন দীনদুঃখীকে তাহা তুমি বিতরণ করিয়া থাক। দয়ার সাগর ঋষিগণ কত পরিশ্রম করিয়া কত সাধের ধন পাইয়াছিলেন, প্রাণ ভরিয়া স্বয়ং তাহ। ভোগ করিয়াছেন, এবং দুই হাত তুলিয়া আমাদিগের ন্যায় দীনদুঃখীকে বিলাইয়া গিয়াছেন। যেমন নিজের একটা দুর্ঘটনা ঘটিলে নয়নে অশ্রধারা বহিয়া থাকে, সেইরূপ শোক-সত্তপ্ত অন্য কোন মণ্ডলীর মধ্যে বসিলেও তোমার হৃদয়ে শোকাবেগ সঞ্চারিত হইয়া থাকে। যেখানে সকল লোকেই আমোদ করিতেছে, তুমি উদাসচিত্ত হও না কেন,