পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে উৎসব। ১৬১ সেইখানে গিয়া ক্ষণেক কাল বসিয়া থাকিলে তোমারও চিত্ত আমোদিত হইবে । সেইরূপ যে উৎসবে কতিপয় ব্যক্তিও হৃদয়ের কপাট খুলিয়া আপনার প্রাণের সখার গুণগানকীৰ্ত্তনে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, যে উৎসবে কতিপয় ব্যক্তিও উৎসাহ সহ সম্মিলিত হইয়াছেন, সেই আনন্দ-মণ্ডলীর মধ্যে এক জন আমার ল্যায় জন্ম-দুঃখী আসিয়া প্রবেশ করিলে, আমার ন্যায় ত্রিতাপ-তপ্ত কোন ব্যক্তি আসিয়া বসিলে, তাহার মনে উৎসবের অমৃত-কণিকা প্রবেশ করিবে, উৎসবের আনন্দলহরী তাহাকে পরিতৃপ্ত করিবে, উৎসবের আনন্দ-ঝঙ্কারে হৃদয়-নিকুঞ্জ-কানন নিনাদিত হইবুে-1 দুঃখ-পূর্ণ সংসারে মুখলাভ করিবার জন্যই উৎসব সম্পাদিত হইয়া থাকে। দুঃখময় ংসাররূপ মরুভূমিতে ধৰ্ম্মোৎসব স্বস্নিগ্ধ সরোবর-সদৃশ । সাংসারিক দুঃখরূপ কালনিশিতে উৎসবই শুকতারা । উপসর্গ ও উপদ্রব-পূর্ণ সংসার-রোগ-বিনাশে উৎসব একটা মহামহৌষধ। চিন্তাশীল ভারতবর্ষ উৎসবের মহাশক্তির তত্ত্ব বুঝিয়াছিলেন, তাই মাসে মাসে কত পর্বোৎসবের ছটা বাধিয়া গিয়াছেন। ভারতবর্ষ বাহিরে ধুমধাম করিয়াই উৎসব সমাপন করেন না, ভিতরে বাহিরে উৎসবে উন্মাদিত হইয়া ভারতবর্ষ নৃত্য করিয়া থাকেন। বাহিরের উৎসবের দিকে দৃষ্টি করিলে বোধ হয়, ইহা আমোদ আহলাদ ও ধুমধাম মাত্র ; কিন্তু ভিতরের দিকে তাকাইলে দেখিতে পাওয়া যায়, এতাবৎ সাধনার স্তর-রাশি । আর্ধ্য ঋষিমহাত্মাগণ বাহিরের উৎসবের ঠাট রচনা করিয়া তন্মধ্যে গভীর সাধনার গুপ্তরত্ন লুকাইয়। রাখিয়াছেন। উৎসব কাল্পনিক নহে,