ভারতে উৎসব। SNEని নসলে মুক্তিলাভ অসম্ভব। অহং মমেতি'-রূপ অভিমানই জীবকে জ্ঞান-রাজ্যে প্রবেশ করিতে দেয় না। দশানন রাবণকে বধ করিবার সময়েও ভগবান শ্রীরামচন্দ্র ঐ মহাশক্তির আরাধনা করিয়াছিলেন, সহস্রদল কমলে তাহার চরণকমল পূজা করিয়াছিলেন। যাহার সহস্ৰদলে মায়ের পদকমলতল বিরাজ করে, তিনিই অহঙ্কার-অভিমানরূপ মহাদৈত্যদলকে সংহার করিতে সমর্থ হন । এই শরতের মহামহোৎসবে সমস্ত ভারতবর্ষে বিজয়-ভেরী বাজিয় উঠে । এ উৎসবে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার হৃদয়ের अर्डखल ভেদ করিয়া আনন্দের লহরী-লীলা খেলিতে থাকে। নুতন বসন-ভুষণে সকলেই যেন নূতন সজ্জা ধারণ করে, প্রত্যেক জীব নবজীবন লাভ করে। এই শরৎ-শশীর হাসিখুসিময় রাজ্যাধিকারে দুর্গোৎসব হইয়া গেল । আবার ঘোর অমাবস্যার অন্ধকারে জীব যখন অঙ্গীভূত, নিদ্রার নিবিড়তায় জীব যখন আত্মহারা হইয়া যায়, তখন সেই প্রস্থপ্ত জীবকে জাগ্রত ও প্রবুদ্ধ করিবার জন্যই ভক্তজন-পালিকা, করালাকালিকা, মুণ্ডমালিকা মূৰ্ত্তির আবির্ভাব হুইয়া থাকে। ভারতের ঘনঘোরঅন্ধ তামসাচ্ছন্ন দুর্দিনে হত-চেতন ভারতকে ভৗম ভৈরব নিনাদে জাগ্ৰত করিবার জন্যই সমর-তরঙ্গে রণরঙ্গে মা নৃত্যকালী নাচিয়া থাকেন । নিদ্রিত ভারতবর্ষ ! নিশ্চেষ্ট ভারতবর্ষ ! নীরব নিম্পন্দ ভারতবর্ষ ! যদি সিদ্ধিসাধন করিতে চাও, যদি চিরদিনের মনোভীষ্ট সাধন করিতে চাও, এই অন্ধকারে কেহ দেখিবে না, ধীরে ধীরে মহাশ্মশানের মধ্যভূমিতে, ভারতীয় বারবর্গের শবাসনে উপবিষ্ট হও, মহাশক্তির মহামন্ত্র
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।