ভারতে উসব। ›ጫ » বতীর পুল্লাম নরক হইতে উদ্ধার হইয় থাকে, জীবের আর যম-যাতনা ভোগ করিতে হয় না । কাৰ্ত্তিকেয়-সমাগমে কৌমার-ব্রত-ধারণে যখন জীবে জিতেন্দিয়ত শক্তি জন্মে, যখন ভোগবিলাস-শয্যায় শয়ন করিয়াও জীব মোহ-নিদ্রায় অভিভূত হয় না, তখনই পরমাত্মার বড় সাধের খেলা রাসলীলার মহামহোৎসব। বিষয়-ভোগে আসক্তি সত্ত্বে এ লীলা-রহস্য লোকের হৃদগত হয় না । ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ চিদম্বনানন্দ বিগ্রহ, এবং সাধকের আরাধিক শক্তি প্রেমঘনাকারাকারিত হইয়া ঐরাধিকারূপে প্রেমলক্ষণ ভক্তিশক্তিরূপিণী গোপিকাগণ সহ এই রাসোৎসবে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, অনাদ্য। প্রকৃতি চৈতন্য সহ অভিন্নভাবে মিলিত হইয়াছিলেন । আরাধিক সাধিক শক্তিই রাধিকারাপে উদ্ভাসিত হইয়া রাসরসিক রাসেশ্বর যোগেশ্বরের রসময় তরঙ্গে ভুকিয়া গিয়াছিলেন। এই রাসোৎসবে যাহার চিত্ত আকৃষ্ট হইয়াছে, তিনি ভগবানের প্রেম-সুপারস পানে কৃতাৰ্থ হইয়া গিয়াছেন। এই মিলন যাহার ভাগ্যে ঘটিয়াছে, তাহার জড়কণ্ঠ ভগবল্লীলা-গাথা-গানে ধন্য হইয়া যায়, তাই বাথাদিনী আসিয়া বীণা-পুস্তক-রঞ্জিত হস্তে বসন্তোৎসবের উদ্বোধন করিয়া থাকেন। পরাবিদ্যা বীণায় ঝঙ্কার দিয়া যখন ত্ৰিজগজুম্ম দিনকারী তান ধরিয়া থাকেন, তখন ভরা বসত্তের মলয় মারুত-হিল্লোলে সাধক-হৃদয়ে প্রেমোল্লাস-তরঙ্গ উথলিয়া উঠে । সেই সময়েই দোলযাত্রার মহামহোৎসব । এখানে প্রকৃতি-পুরুষের অভিন্ন অধিকারে অপূৰ্ব্ব সম্মিলন । সখীগণ প্রাণের সখাকে হ্যুদয়-দোলায় দোলাইয়। কতই
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।