ভারতে উৎসব । ১৭৩ “জয় কৃষ্ণ জগন্নাথ জয় চামুরস্বদন। ফন্তুক্রেীড়াভিরেতাভিস্ত্ৰাহি মাং ভবসাগরাৎ ॥ জয় গোপীমুখাস্তেজ-মধুপানমধুব্রত। ফন্তুক্রেীড়াভিরেতাভিস্ত্ৰাহি মাং ভবসাগরীৎ ॥ জয় দেব দিনেশান রজনীশবিলোচন । নিরাকার নিরাধাস নিগুণ ত্রাহি মাং প্রভো ॥” সাধক সিদ্ধি-সাধনের উচ্চতর মঞ্চে উঠিয়া দোল-মঞ্চের এই রাগানুগ প্রেমবিলাসের মোহন ছবি দর্শন করিয়া থাকেন। ভারতের সমস্ত উৎসবই আমন্দস্বরূপের সহিত পরমানন্দ সম্ভোগ মাত্র । শুশ্রীষু সভ্য মহোদয়গণ ! যে ভারতে এত উৎসবের তরঙ্গ-মালা, সেখানে আজিকার সভার উৎসবকে একটী অভিনব ব্যাপার বলিয়া বোধ হইবে কেন ? যত উৎসবের কথ। বলিলাম, সকল উৎসবেই ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম, যোগ যাগ, ধ্যান জ্ঞান, বিধি নিষেধ আদির ব্যবস্থা আছে । এ সকল উৎসবই সাধকগণের জন্য—সকল উৎসবেই শক্তি সামর্থ্যের প্রয়োজন। কলিযুগে নিতান্ত নিরষ্টাধিকারী আমরা, শক্তিইৗন জীব আমরা, যাহতে এতাবৎ উৎসবগুলির উপযুক্ত অধিকারী হইতে পারি, তাহাই শিক্ষা করিবার জন্য, ভগবানের নিকট সামর্থ্য ভিক্ষা করিবার জন্য হরিসভা, ধৰ্ম্মসভা আদির সুচনা হইয়াছে । যে শুভ দিনে এই শুভানুষ্ঠানের শুভ সূচনা হইয়াছে, বর্যের আজ সেই দিন উপস্থিত। যাহার রূপায় মুকের মুখে বাক্যস্ফপ্তি হয়, যাহার রূপায় পঙ্গু গিরি উল্লঙ্ঘন করে, মন্দাধিকারী আমরা, আমাদের অসাধ্য
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।