>b”の পরিব্রাজকের বক্তৃত। আমি তোমাকে দিব্য চক্ষু দান করিতেছি, তুমি আমার যোগৈশ্বৰ্য্য দর্শন করিয়া লও। ভগবৎ-কৃপায় অর্জুন দেখিতে পাইলেন বটে, কিন্তু দেখিতে পারিলেন কৈ ? ভগবানের অনন্ত উদ্ভাসিত বিরাট মূৰ্ত্তি-মওল দর্শন করিয়া অৰ্জুন চকিত চমকিত হইয়৷ অমনি বলিয়া উঠিলেন— “দৃষ্ট হি ত্বাং প্রব্যথিতান্তরাত্মা ধৃতিং ন বিনামি শমঞ্চ বিষ্ণো।” হে বিভো! তোমার এই বিরাট মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া আমার অন্তরাত্মা বিচলিত হইয়াছে, আমি কোন ক্রমেই ধৈর্ষ্য ও শান্তি অবলম্বন করিতে পারিতেছি না। “অদৃষ্টপূৰ্ব্বং হৃষিতোশ্মি দৃং ভয়েন চ প্ৰব্যথিতং মনোমে। তদেব মে দর্শন দেবরূপং প্ৰসীদ দেবেশ জগন্ধিবাস ॥” হে দেবেশ ! তোমার এই অদৃষ্টচর অপূর্ব রূপ দৰ্শন করিয়া আমি সস্তুষ্ট হইয়াছি বটে, কিন্তু ভয়ে প্রাণ ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছে, হে জগন্নিবাস ! তোমার সেই মনোহর পূৰ্ব্ব (কৃষ্ণ ) রূপ দেখাইয়া আমার প্রতি প্রসন্নত বিস্তার কর। তাই বলি পদার্থের স্বরূপ-সত্তা আমরা দেখিতে সমর্থ নহি । যাহার যতটুকু দেখিবার অধিকার আছে, সে ততটুকু দেখিতে পায়। চক্ষু থাকিলেই যে সমস্ত দেখা যায়, তাহ। নহে; চক্ষুর আয়ত্ৰীভূত যতটুকু, ততটুকুই চক্ষু দেখিতে পায়। মন যতটুকু দেখিতে চায়, চক্ষু ততটুকু দেখিতে পায় না । মন চায় একবারে সমস্ত ব্ৰহ্মাও দেখিতে, চক্ষু তাহার একাংশও দেখিয়া উঠিতে পারে না । মন চায় মনের অগোচর পুরুষকে দেখিতে, চক্ষু ব্ৰহ্মাণ্ডের সমন্ত স্থানে
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।