অন্ধের যষ্টি। Ꮌb~Ꮌ উলটি পালটি করিয়া খুজিলেও তাহ দেখিতে পায় না। এখন এ সকল দেখার কথা ছাড়িয়া দিই। সোজাস্বজি চোখের দেখার কথা লইয়া আলোচনা করি । চক্ষু সকলের সমান নহে। লোকে বলে অন্ধকারে দেখা যায় না। আমি বলি, তুমি আমি দেখিতে না পাইলেও এমন অনেক কীট, পতঙ্গ, বিহঙ্গ অাছে, যাহারা অন্ধকারেই ভাল দেখিতে পায়। তোমার আমার চক্ষু, মুর্ধ্যালোকেই বেশ দেখিতে পায়, কিন্তু অনেকের চক্ষু এমন আছে, যাহা স্থৰ্য্যালোকে অন্ধীভূত হইয়া যায়। অতএব আলোকে দেখা যায়; অন্ধকারে দেখা যায় না, ইহা সমীচীন সিদ্ধান্ত, বলিয়া পরিগণিত নহে। পদার্থ নিজ গুণে চক্ষুর গোচরীভুত হয়, অথবা চক্ষুর নিজ গুণে পদার্থের সত্ত। প্রতীয়মান হয়, কিম্বা পদার্থ ও চক্ষু উভয়ের সন্নিকর্ষ-সম্বন্ধে পদার্থ-জ্ঞান জন্মে, ইহা এ পর্য্যন্ত বিজ্ঞান-জগতে স্বচারুরূপে মীমাংসিত হয় নাই। সুতরাং দর্শনরূপ ক্রিয় পদার্থ বা চক্ষুর স্বতন্ত্র গুণ সাপেক্ষ, তাহ কে বলিতে পারে ? সত্য বটে, পদার্থ না থাকিলে চক্ষু দেখিবে কি ? এবং ইহাও সত্য বটে, পদার্থ সত্ত্বেও যদি চক্ষু না থাকিল, তাহা হইলেই বা দেখিবে কি ? সাধারণের সিদ্ধাত্ত এই যে, পদার্থ আছে বলিয়াই চক্ষু তাহ দেখিতে পায়, কিন্তু বেদান্তের তত্ত্বজ্ঞান-বিচারে “সৰ্ব্বং খম্বিদং ব্রহ্ম”— “ন কিঞ্চিদাসীৎ” ইত্যাকার ভৈরব হুঙ্কারের তাড়নায় পদার্থের অস্তিত্ব দেখিতে পাই কৈ ? একবার ভাবি চক্ষু দ্বারাই দৰ্শন-ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, আবার দেখি, মনের প্রেরণামুরূপ, অর্থাৎ মনের যখন যে অবস্থা থাকে, পদার্থের রূপ
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।