পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb-8. পরিব্রাজকের বক্তৃতা। চক্ষু দ্বারা তখন সেইভাবে পরিগৃহীত হইয়া থাকে। মনের স্বচ্ছন্দ অবস্থায় চক্ষু শক্রকেও মিত্র বলিয়া দেখে, আবার মনের বিকৃত অবস্থায় সেই চক্ষু মিত্রকে শক্র বলিয়া অবলোকন করে । লোকে দেখার প্রমাণকে প্রবল ও প্রসিদ্ধ বলিয়া মনে করিয়া থাকে, কিন্তু আমি সহজ দেখাকে স্বসিদ্ধ বলিয়া মনে করিতে পারি না। আমি পূর্বেই বলিয়াছি যে, দেখার মত দেখিতে না জানিলে, সে দেখা ত.সিদ্ধ। আমি চক্ষুর দ্বারা চিরকাল দেখিয়া আসিয়াছি, স্বৰ্য্য একখানি রৌপ্য থালের মত, কিন্তু জ্যোতিশত্র যে রীতিতে দেখিতে হয়, সেই রীতিতে দেখিলাম, উহা পৃথিবী অপেক্ষাও প্রকাও । আমি চিরকাল চক্ষুর দ্বারা দেখিয়া আসিয়াছি, আকাশমার্গ শূন্যগর্ভ, কিন্তু অনুবীক্ষণ সাহায্যে দেখিলাম উহ। কাটালুকীটে পরিপূর্ণ, এবং যে রীতিতে সুক্ষতিসুক্ষম তত্ত্ব অবগত হইতে হয়, সেই পদ্ধতিতে বিচার করিয়া দেখিলাম, উহ। অনন্ত শক্তি-রাশির বিচিত্র লীলাভূমি । আমি চিরদিন নিৰ্ম্মল জানিয়া যে জল উপাদেয় বোধে প্রত্যহ পান করিয়া থাকি, তাহাই যন্ত্রলোগে, অর্থাৎ যে রীতিতে সুক্ষ দৃষ্টি করিতে হয়, সেই রীতিতে দেখিলাম, আমার সেই মনঃপুত নিৰ্ম্মল জলে কত কীট ক্রীড়া করিয়া বেড়াইতেছে। অতএব চক্ষুর দেখা, সমুচিত দেখা বলিয়া স্বসিদ্ধ হইল কৈ ? বাল্য, কৈশোর, যৌবনে পুস্তকের যে অক্ষরটাকে মানব যে আকারের দেখিয়া থাকে, চল্লিশ বৎসর বয়ঃক্রমের পরে চক্ষু সে অক্ষরটাকে সে আকারে দেখিতে পায় না। চসমার সাহায্যে, কাচের বৈচিত্র্য-গুণে সেই অক্ষরগুলি