পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের যষ্টি। ف سيالا( কখনও দূরে বড়, নিকটে ছোট, কখনও দূরে ছোট, নিকটে বড় দেখায়। অনাবৃত নেত্রে পুস্তকের সমস্ত পত্র গুলি যেন কালি-মাখ। হিজিবিজি রেখা বলিয়। বোধ হয়। অতএব চক্ষু বাল্য, কৈশোর, যৌবনে যাহা দেখিল, তাহাই কি অক্ষরের স্বরূপ ? অথবা চল্লিশ বৎসরের পরে যেরূপ দেখা গেল, তাহাই তাহাদের স্বরূপ ? কিম্বা চসমায় যাহা ভিন্ন ভিন্নরূপ দর্শন হইল, তাহাই তাহদের স্বরূপ ? কিম্বা বৃদ্ধ যাহ। হিজি বিজি দেখিলেন, তাহাই তাহদের স্বরূপ ? বালক বা যুবার চক্ষু প্রকৃতিস্থ, অথবা বয়োবৃদ্ধের চক্ষু প্রকৃতিস্থ, এ কথার মীমাংসা হওয়া কঠিন । শারীর প্রকৃতির তরুণ ও উন্নত অবস্থায় পদার্থের স্বরূপ দৃষ্ট হয়, অথবা প্রকৃতির পরিপাকাবস্থায় পদার্থের প্রকৃত রূপ দৃষ্ট হইয় থাকে, এ কথার সিদ্ধান্ত করিবে কে ? তোমার আমার মনের মত হইলেই আমরা তাহাকে ঠিক ও স্বরূপ বলিয়া স্বীকার করিয়া থাকি সত্য ; কিন্তু পদার্থ-তত্ত্ব যে তাহাতে নিরূপিত হইল, এ কথা স্বীকার করিব কিরূপে ? শাস্ত্রীয় বিচারে পদার্থের অস্তিত্ব স্বীকার করিলে ও যখন পদ পদার্থের অনেক গণ্ডগোল, তখন পদার্থের তত্ত্ব-নিরূপণ যে সুকঠিন, তাহাতে তার সন্দেহ নাই । আবার যখন পদার্থের অস্তিত্ব লইয়া মায়াবাদের বিচার-তরঙ্গ উচ্ছসিত হয়, তখন পদার্থের আরুতি প্রকতির কথা দূরে থাক, তাহার অস্তিত্ব লইয়াই টানাটনি পড়িয়া যায়। সুতরাং চক্ষুর দেখা যে স্বরূপ দেখা, ইহা আমরা সহসা স্বীকার করিতে পারিলাম না । বিশেষতঃ প্রকৃতির উৎপত্তি, গতি, ও পরিণতির মহাচক্রের বিঘুর্ণনের