পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের যষ্টি। >b一(t ঘটিয় উঠে না । এই যাহা দেখিলাম, তাহাই যদি দেখিতে দেখিতে অন্যরূপ হইয়া গেল, তবে আর দেখা হইল কৈ ? অনবরত নূতন অবস্থা আসিয়া পদার্থকে আশ্রয় করিতেছে, সুতরাং দর্শন-শক্তি কোন অবস্থাকেই ভাল করিয়া পরিপাক করিতে পারিতেছে না। অতএব মানবের চক্ষু বাহ্য জগৎকে দেখিতে ইচ্ছা করিলেও অবস্থার অবিরল পরিবৰ্বনে তাহ আদৌ দেখাই হইতে পারে না। এই যাহাকে দেখিলাম, পরক্ষণে আর তাহাকে পাইলাম না। ভোজ বাজীর ন্যায়, বিদ্যুৎ-বিকাশের ন্যায়, আসিল আর চলিয়। গেল, জন্মিতে না জন্মিতেই মরিয়গেল, দেখিতে না দেখিতেই লুকায়িত হইল। অতএব চক্ষু কোন বস্তুকেই এক অবস্থায় দেখিতে পায় কৈ ? এই ত গেল বস্তুশক্তির পরিগামাভিমুখী গতির অনিবার্ঘ্য প্রকৃতি। আবার চক্ষু যে দশম-শক্তিকে আশ্রয় করিয়া পদার্থকে দেখিবে, তাহারও অবস্থা ত অচল নহে। এই শরীরও পদার্থ মধ্যে গণ্য। অবিরাম পরিণামের দিকে ধাবিত হওয়া ইহারও স্বভাব । স্বতরাং পূৰ্ব্বক্ষণে দর্শন করিবার সময় চক্ষুর যে অবস্থা ছিল, পরক্ষণে দর্শন করিবার সময় চক্ষুর অবস্থা স্বতন্ত্র হইয়। গেল। চক্ষু এই মাত্র যাহা দেখিল, পলক পালটিয়া আর তাহা দেখিতে পাইল না । তাহাতে আবার মনের অবস্থাভেদে চক্ষুর দর্শন-শক্তি পরিচালিত হয় বলিয়া, চক্ষু ইতিপুৰ্ব্বে যে বস্তুকে যে ভাবে দেখিয়াছিল, পরক্ষণে মনের অৰস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চক্ষুর দর্শন-শক্তির অবস্থাও পরিবর্তিত হইল। স্বতরাং পদার্থের প্রতি দৃষ্টিও স্বতন্ত্র