পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের মুৰ্চ্ছাভঙ্গ । ఏ দল, ভারতের পুষ্প, ভারতের ধূলি, বলিতে কি, ভারতের প্রকৃতির সকল পদার্থই যেন বিশ্ব-রচয়িতার নিৰ্ম্মল চরণ স্পর্শ করিতে প্রস্তুত হইয়াছে। ভারতের জাগ্ৰং, স্বপ্ন, স্বযুপ্তি, ভারতের হৃদয়-দেবতাকে সেবা করিবার জন্য ভারতনিবাসীকে আশ্রয় করিয়া আছে। ভারতের ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান এতং কালত্রয় ভারতের হৃদয়-দেবতার অশেষ গুণগানে অতিবাহিত হইবার জন্য নৃত্য করিতেছে । আজ সেই ভারতের জ্বলন্ত জীবনী-শক্তি, জানিনা, কাহার প্রচও বঙ্গ-তাড়নায় ভাত, চকিত, চমকিত, ও মূচ্ছিত হুইয়। পড়িয়াছে ! যে যে অনুকুল হেতু বিদ্যমান থাকিলে দেশের সৌভাগ্যশ্ৰী সম্বৰ্দ্ধিত হয়, ভারতবর্ষে তাহার কিছুই অপ্র ভূল ছিল ন, জগন্মাতা অনাদ্য। প্রকৃতি যাহার অনুকুল, তাহার আব্রার অভাব কিসের ? সৰ্ব্বার্থ-সম্পাদিক প্রকৃতির ভারতবর্যের প্রতি বিশেষ সদয় দৃষ্টিপাতের কথা স্বীকার করিতে আধুনিক সভ্যতালোকে অঙ্গীভূত অনেকেই প্রস্তুত হইবেন না । হয় তো তাহাঁরা বলিবেন, সৰ্ব্বত্র সমদৰ্শী পরমেশ্বর কি কোন দেশ ভাল, কোন দেশ মন্দ, করিতে পারেন ? তিনি কি কখন কাহাকে শ্রেষ্ঠ বা কাহাকেও অশ্রেষ্ঠ কন্ধিয়া থাকেন ? তাহাতে বৈষম্য-দৃষ্টি আদৌ নাই। তিনি কি কোন প্রকার পক্ষপাত করিতে পারেন ? সভ্য মহোদয়গণ । এই আপাত-মনোহর কথাগুলি চিন্তাশীল-মভিক্ষপ্রস্থত নহে। ভগবানের রাজ্যে বৈষম্য নাই সত্য, কিন্তু বিচিত্ৰত আছে । উহার স্মৃষ্টি-কৌশলে বিরুদ্ধতা নাই