অন্ধের যষ্টি । )స్సిరి করেন না, পর-নিন্দ শুনিলে যাহার হৃদয় ব্যথিত হয়, তিনিই সাধু । “সচ্ছিদ্র ছিদ্রয়ত্যন্যং স্বচাব খলদ্বমুখং। পশ্চাচ্চ স্বত্রবৎ সাধু পরছিদ্রং বিলুম্পতি ॥” ছুচ স্বয়ং সছিদ্র, তাই কাপড় শেলাই করিবার সময় যে যে স্থান দিয়া গমন করে, সকল স্থানকেই ছিদ্রযুক্ত করিয়া যায়, সেইরূপ খল ও দুমুখগণ অছিদ্র-যুক্ত সাধুর নামকেও ছিদ্র-যুক্ত করিয়া দেয় ; কিন্তু স্থচী-সংলগ্ন স্বত্র যেমন মুচীকৃত ছিদ্ররাশিকে পরে বিলুপ্ত করিয়া আসে, সেইরূপ সাধুগণ নিলুকের পরিকল্পিত অন্যের নিন্দারাশি বিলোপ করিয়া দেন । হৃদয় ভরিয়া সাধুকে ভালবাসিতে না পারিলে সাধু-সঙ্গের স্নমধুর ফল পাওয়া যায় না। সাধু চিনিতে পারিলেই যে আমরা সাধুসঙ্গ করিতে সমর্থ হই, তাহ নহে। যিনি সাধুকে ভালবাসিতে জানেন, લર્નર সাধু যাহার প্রতি কৃপা করেন, তাহারই প্রকৃত সাধুসঙ্গ হইয়া থাকে। সাধুর কথাবার্তা শ্রবণ করাই সাধুসঙ্গ নহে। সাধুর সেবা করা ও সাধুর আজ্ঞা প্রতিপালন করাই সাধুসঙ্গ। সাধুর অনুরক্ত ভক্ত যখন সেবানুরাগী হইয়া সাধুর সমীপে বাস করেন, তখনই সাধুর পবিত্র শক্তিরাশি পুষ্পের স্বগন্ধ-প্রবাহের ন্যায় তাহার হৃদয়ে প্রবাহিত হইয়া থাকে । যেমন নিদাঘকালীন আতপ-তাপে শরীর অতিশয় সস্তপ্ত হইলে, ও মশক দংশকাদির দংশনে নিতান্ত জ্বালায়াতন হইলে মহিষগণ জলাশয়ে গিয়া গার নিমজ্জন করিয়া থাকে, সেইরূপ বিষয়ু-সেবার বিপুল সস্তাপে
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।