ᎼᎽ8 পরিব্রাজকের বক্তৃতা। নিতান্ত কাতর হইলে মানবগণ প্রাণ শীতল করিবার জন্য সাধুদিগের সঙ্গ-লাভে কৃতাৰ্থ হইতে যায়। মহিষগণের মধ্যে কতকগুলি ক্ষণকাল জলে ডুবিয়া শরীর শীতল হইলে সিক্তকলেবরে উঠিয়া আসে, আবার গায়ের জল শুকাইলে, তপন-তাপে ও মশক-দংশকের উৎপীড়নে কাতর হইলে, পুনর্বার জলে গিয়া প্রবেশ করে ; এইরূপে সমস্ত দিন জলে স্থলে তাহাদিগকে দৌড়াদৌড়ি করিতে হয়। কতক গুলি মহিষ এরূপ আছে যে, স্থলে উঠিলেই ক্লিষ্ট হইতে হয় বলিয়া, তাহৰন সমস্ত দিন জলে গাত্র ডুবাইয়৷ শীতলত। ভোগ করে ; কিন্তু আহারাভাবে তাহাদিগের শরীর শীর্ণ হইতে থাকে । আবার কতকগুলি এরূপ স্থচ তুর মহিষ আছে যে, তাহারা পঙ্কিল পল্লল মধ্যে প্রবেশ করিয়া তাহাতে লুটাপুটি খায়, এবং ক্ষণকাল পরে পঙ্কলিপ্তকলেবরে উঠিয়া আসে, এবং ভোজনাদিপূর্বক বিচরণ করিয়া থাকে ; শরীর-সংলগ্ন পঙ্কের আবরণ ভেদ করিয়া তাপ বা মশক-দংশকাদি তাহাদিগকে কোন ক্লেশ দিতে পারে নগ্ন । ভক্ত মহাত্মাগণ । সাধু সেবা-পরায়ণ ব্যক্তিগণও এইরূপ ত্ৰিবিধ ত্রিতাপ-জ্বালায় সস্তপ্ত হইয়। অনেকে শান্তিলাভ করিবার জন্য সাধুদিগের নিকটে উপস্থিত হন, যতক্ষণ সাধুর নিকট বসিয়া তাহার বৈরাগ্য-পূর্ণ উপদেশ শ্রবণ এবং তাহার সৌম্যমূৰ্ত্তি দর্শন করেন, ততক্ষণ র্তাহার মনঃপ্রাণ জুড়াইয়া যায় সত্য; কিন্তু গৃহে ফিরিয়া আসিলেই আবার পূর্ববং জ্বালামালায় হৃদয় বিদগ্ধ হইতে থাকে। আর কতকগুলি লোক সংসারকে সম্পূর্ণ ক্লেশের হেতু
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।