পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের যষ্টি । ১৯৭ এবং রাজ-সমীপে পণ্ডিত-মণ্ডলীর সহিত শাস্ত্রার্থ করিবার অনুমতি চাহিলেন। তাহাতে রাজা বলিলেন, তুমি কি গীত৷ কোন সন্ন্যাসী সাধুর নিকট পাঠ করিয়াছ ? এবং যখন শুনিলেন যে, তিনি গীতা কোন পণ্ডিতের নিকট পড়িয়াছেন, সাধুর নিকট পড়েন নাই, তখন বলিলেন যে, ভূমি পুনৰ্ব্বার কাশী যাও, ও কোন ভগবভক্ত সাধু সন্ন্যাসীর নিকট গীত পুনৰ্ব্বার পাঠ করিয়া আইস। পণ্ডিতগণ প্রায়ই পাণ্ডিত্যের অভিমানে অহম্মন্যতায় উন্মাদিত হইয়। কাহাকেই শ্রেষ্ঠ বলিয়া মানিতে চাহেন না। রাজ-গুরুপুত্র যখন সেইরূপ পণ্ডিতের কাছে বিদ্যাভ্যাস করিয়াছেন, তখন তাহার হৃদয়ে অহম্মন্যতার অন্ধতামসী শক্তি সঞ্চারিত হইবে না কেন ? তাই রাজার কথায় একটু বিরক্ত হইয়। বলিলেন যে, আমি যেরূপ গীত পড়িয়াছি, তাহ অপেক্ষা সন্ন্যাসী সাধু আর কি নুতনরূপ পড়াইবেন ? রাজা তথাচ তাহাকে কাশীতে পাঠাইয়া দিলেন। বিদ্যার্থী কাশীতে পুনরাগত হইয়। একজন ভক্তিমান বৈরাগ্যবান সাধুর নিকট গীত পুনরধ্যয়ন করিলেন। পাঠ সমাপ্ত হইলে গুরুকে অভিবাদনপূর্বক গুরুর আজ্ঞা ও আশীৰ্ব্বাদ লইয়। রেওয়ায় প্রত্যাবৃত্ত হইলেন ; কিন্তু সেবার তিনি আর রাজ-সভায় গমন করিলেন না । রাজা গুরুপুত্রের পুনরাগমন-সংবাদ পাইয় গুরুকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, এবার আপনার পুত্র রাজ-সভায় আসিলেন না কেন ? গুরু উত্তর করিলেন, তাহ। আমি জানি না, সে সৰ্ব্বদাই গীত৷ লইয়া পাঠ ও পূজায় ব্যস্ত থাকে, অন্য কোন কার্ধ্যে