পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S o ο পরিব্রাজকের বক্তৃত। প্রাপ্ত হয় ; কিন্তু আমরা জন্ম-জন্মান্তর হইতে এই মোহসুরা পান করিয়া আসিতেছি, আমরা যে অন্ধ হইয় পড়িল, তাহাতে আশ্চর্য্য কি ? বিষয়-পিপাসায় কাতর হইয়। আমরা সুধা-বোধে যে স্বরা প্লান করিয়াছি, তাহাতেই আমর" জন্মান্ধ । জন্মান্ধ কখনই কিছু দেখে নাই । চক্ষুষ্ম।ণ ব্যক্তি যদি কখনও কিছু অন্ধকে দেখাইয় দেন, অন্ধ তাহ দেখিতে পাইবে কেন ? শুনিয়া শিখিয়া কি দেখার সাধ মিটিয়া থাকে । অন্ধের দেখিবার আকাঙ্ক্ষা আছে, কিন্তু দেখিতে পায় না । অন্ধ চক্ষুষ্মানের উপদেশমতে পথ চলিয়৷ থাকে, -আহার ব্যবহার করিয়া থাকে । বলিতে কি, অন্ধ নিজ জীবনের সমস্তু কাৰ্য্যই পরের উপদেশে সম্পন্ন করিয়া থাকে। অন্ধের সমস্তই প্রয়োজন, কিন্তু নিজে কিছুই করিয়া লইতে পারে না । ভাত খাইতে পারে, কিন্তু রাধিয়া লইতে জানে নু । অন্ধ রাম। ভাত পাইলে খাইয়া তৃপ্ত হয় মাত্র । অন্ধ বড় গরীব ও পথের ভিখারী । চক্ষন্মানের কৃপা ন হইলে অন্ধের কোন কৰ্ম্মই সিদ্ধ হয় না । যিনি দীন দয়াল, তিনি অন্ধশাল। নিৰ্ম্মাণ করিয়৷ দেন ; তিনিই অন্ধের জন্য অন্ন-সত্ৰ খুলিয়। সংকীৰ্ত্তি-রক্ষা করিয়া থাকেন। জগতের যত অন্ধকে দেখিতে পাই, সকলেই এক একগাছি যষ্টি অবলম্বন করিম পথ চলিয়া থাকে । খাইবার স্থানে, শুইবার স্থানে, বসিবার স্থানে, অথব যে কোন স্থানে যাউক ন। কেন, অন্ধ আপনার যষ্টি ছাড়িবা যায় না । যষ্টিই অন্ধের পরমাবলম্বন ও পরমোপকারী বন্ধু। অন্ধের পিত।