২০২ পরিব্রাজকের বক্তৃতা। লইয়া যাইবে। যাইতে যাইতে সম্মুখে অপথ কি কুপথ পড়িলে, কলের যষ্টি আপনিই আমাদিগকে স্থপথের দিকে ঘুরাইয়া দিবে । যে দিকে মহানরকের মহান গৰ্ত্তরাশি, যষ্টি সে দিকে যাইতে আমাদিগকে বাধা দিবে। আমি জানি, আর নাই জানি, আমার যেখানে যাইতে হইবে, সেই চিরবিশ্রামনিকেতনের দিকে যষ্টি আমাকে আপনিই লইয়া যাইবে । “যদুগত্বা ন নিবর্তন্তে তদ্ধামপরময়ম।” ইন্দ্রজালীর মন্ত্রপূত সেই কলের যষ্টি যে অন্ধ অবলম্বন করিতে পারিয়াছে, সেই অন্ধই নিত্য নিকেতনে পৌঁছিতে সমর্থ হইয়াছে। এই যষ্টি ভক্তগণের দরবারে সিদ্ধগণের প্রেমবাজারে বিনামূল্যে বিক্রয় হইয়া থাকে। যষ্টি— হরিনাম । আমাদিগের ন্যায় বিষয়ান্ধ জীবের হরিনামই পর্যমাবলম্বন। যোগ, জ্ঞান, বিজ্ঞানরূপ মণিমুক্তাখচিত স্বর্ণ যষ্টি হাতে থাকিলে চোরে ( ষড়রিপু) চুরি করিয়া লইতে পারে, অঙ্গকে মারিয়া কাড়িয়া লইতে পারে ; কিন্তু এত সহজ সাধনের হরিনামরূপ যষ্টি ধারণে কোনরূপ বিঘ্ন বিপত্তি নাই, তাই নিঃসহায় অন্ধের পক্ষে হরিনাম পরম বন্ধু। বেদরূপ স্থগভীর অরণ্য মধ্যে এই যষ্টি জন্মিয়াছে। অন্ধের প্রতি—কলির জীবের প্রতি দয়া করিয়া এই স্বঠাম হরিনামরূপ যষ্টি সংসারে কে আনিল ? তাহাকে বারংবার নমস্কার করি। মুর্থ আমি, জ্ঞানলাভ করিব কোথায় ? চঞ্চলচিত্ত আমি, যোগাভ্যাস করিব কিরূপে ? পাষাণ
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।