অন্ধের যষ্টি । ՀoՊ প্রাণে পাপতাপ-কলুষ-বিনাশ-কামনায় চিন্তিত হইয়াছেন ? বৃহন্নারদীয় পুরাণে উক্ত আছে— “নরাণাং বিষয়ান্ধীনাং মমতাকুলচেতসাম্। একএব হরেনাম সৰ্ব্বপাপবিনাশনম্।” অহং মমতায় অভিভূত, বিষম বিষয়ান্ধকারে অন্ধীভূত মানবগণের যত পাপই থাকুক না কেন, একমাত্র হরিনামের প্রভাবে সমস্তই বিনষ্ট হইয়া যায়। মুমুক্ষু মানব ! এমন জীব সংসারে কে আছে, যে জ্ঞানতঃ বা অজ্ঞানতঃ কোন না কোনরূপ পাপ বা অপরাধ না করিয়াছে ? . করিয়াছে বলিয়াই বা তাহার এত ভাবনা কেন ? বৃহদ্বিষ্ণুপুরাণে কথিত আছে— “নামেীহস্য যাবতী শক্তি: পাপনিহঁরণে করেঃ । তাবৎ কৰ্ত্ত য়শক্লোতি পাতকং পাতকী জন ৷” হরিনামে এত পাপহরণ করিবার শক্তি আছে যে, অতি মহাপাতকীও তত পাপ করিয়া উঠিতে পারে না । “প্রাণপ্রয়াণপাথেয়ং সংসারব্যাধিভেষজম্। দুঃখশোকপরিত্রাণং হরিরিত্যক্ষরস্বয়ম্ ॥” হে জীব ! মরণের পর কোথায় যাইতে হইবে, কোন দুর্গম ও দুজ্ঞেয় স্থানে উপস্থিত হইবে, তাহার নিশ্চয়তা নাই । লোকে সামান্য দূর যাইতে হইলে ও পাথেয় সঙ্গে লয় ; এই অজানিত পথে যাইতে হইলে হরিনামই পথের সম্বল, সংসারব্যাধির হরিনামই মহৌষধ, দুঃখ-শোক-পরিত্রাণের জন্য হরি এই অক্ষরদ্বয়ই উপযুক্ত বিধি। বৃহন্নারদীয়ে উক্ত হইয়াছে— "হরির্বরতি পাপানি দুষ্টচিত্ত্বৈরপিস্তৃতঃ । অনিচ্ছয়াপি সংপৃঃ দহত্যেব ংি পাবক: ॥*
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।