পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀօԵ- পরিব্রাজকের दङ्गऊ | অভক্তিপূৰ্ব্বকও যদি কোন ব্যক্তি ভগবানের নাম গ্রহণ করে, তথাপি তাহার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হইয়া যায়, অনিচ্ছাপূৰ্ব্বকও যদি কেহ জ্বলন্ত অনলে হস্ত প্রদান করে, তবে কি তাহার হস্ত দগ্ধ হয় না ? সাধু মহোদয়গণ কৰ্ম্ম, যোগ, জ্ঞান, ভক্তি আদির যেমন অধিকারী অনধিকারীর বিচার আছে, হরিনাম-সাধনে সেরূপ বিচার করিবার প্রয়োজন নাই। ক্ষুধাৰ্ত্ত যে ব্যক্তি, পিপাসা অনুভব হইয়াছে যাহার, দোঁডিয়া আসিয়া হরিনাম-সুধারস পান কর, চিরপরিতৃপ্তি লাভ করিবে । আমরা পাপী পাষও বলিয়া, জ্ঞান যোগাদির অধিকারী নই বলিয়া, নিরাশ হইবার প্রয়োজন নাই, এই পাষণ্ডদলন হরিনাম প্রাণ ভরিয়া উচ্চারণ কর, দেবদুলভ নিকেতন নিকট হইয়। অসিবে । জন্মজন্মান্তরে বিষম বিষয়-বিষ-পান করিয়া অঙ্গ হইয়াছি আমরা, হরিনামের ঐন্দ্রজালিক যষ্টি আমাদের অবলম্বন । হরিনামে পাপীর যেমন অধিকার, হরিনামে পাপীর যেমন আনন্দ ও লাভ, এমন আর কাহারও নাই। পাতকী ভিন্ন পেট ভরিয়া হরিনাম-মুধা আর পান করিতে পারে কে ? যাহারা ভক্ত ও ভক্তির অবতার, তাহারাই ত প্রাণ পুরিয়া, পেয়াল ভরিয়া নাম-মুধারস মনের স্বখে পান করিতে পারিয়াছেন। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 'হ' এই অক্ষরটা উচ্চারণ করিতে না করিতেই প্রেমের আবেশে বিহবল হইয়া পড়িতেন, কণ্ঠ অবরুদ্ধ হইত, ‘রি’ এই অক্ষরটী উচ্চারণ করিবার সামর্থ্য থাকিত না । তিনি জীবনে কয় বারই বা হরিনাম উচ্চারণ করিতে পারিয়াছেন ? যবন হরিদাস যেমন দৈনিক লক্ষ হরিনাম জপ করিয়া উদও নৃত্য