অন্ধের যষ্টি। ২০৯ করিতে করিতে জগতে বজ্র-নিনাদে হরিনামের জয়ধ্বনি । গাছিয়াছেন, পাপী জগাই মাধাই যেমন নাম-সুধাপানে মত্ত হইয়। ভৈরব হুঙ্কারে "হরিবেtল "হরিবোল’ বলিয়া দেশকে জাগ্ৰত করিয়াছেন, তেমন আর কে করিতে পারিয়াছে ? অামাদের ন্যায় অভক্ত না হইলে, আমাদের ন্যায় অপরাধী ন হইলে, আমাদের ন্যায় কলি-কবলিত না হইলে, আমাদিগের ন্যায় পতিত পাতকী না হইলে, ভগবান দয়া করিয়া হরিনামের স্বগীয় মৃধা তবে কাহার জন্য পাঠাইয়াতেন ? সমস্ত ভয় ভাবনা তুচ্ছ করিয়া, অধিকার অনধিকার স্থিত হইয়া, সাধের মানব জন্মকে সফল করিবার জন্য অস্বন, সকলে একবার বদন ভরিয়া বলি "হরিবোল’ পুনৰ্ব্বার বলি হরি হরিবেtল, আবার সকলে বলি হরি হরিবোল । কি জানি মহতোমহীয়ান ভগবান চিকণচিকুর পাশে কিৰূপে মত্ত হস্তীকে বাধিয়। রাখেন, ‘হরি’ শব্দটী ছোট খাট হইলে ও ভগবান অঘটন-ঘটন-পটীয়সী শক্তি ইহাতে সঞ্চার করিয়া রাখিয়াছেন। নাম উচ্চারিত হইলেই দেহ, মন, আত্ম। পবিত্র হইয়া যায়। এই মধুর শব্দ কৰ্ণে প্রবেশ করিয়া বা মুখে উচ্চারিত হইয়া হৃদয়ের কোন তড়িৎ তন্ত্রীতে ঘাত-প্রতিঘাত করে, কিরূপে স্নায়বীয় প্রকৃতিকে বিকম্পিত করিয়া মস্তিষ্কের গুঢ় স্থান স্পর্শ করে, এই সুগভীর শব্দ-বিজ্ঞানের কথা লইয়। অrজ সময় ক্ষেপ করিবার আমার অবকাশ নাই । তবে কেহ কেহ যে বলিয়া থাকেন— “পণ্ডিত যে বাদ বদে সে ফুট। রাম কহে জগৎ গতি পাওয়ে তো ধাড় কহে মুখ মিঠা।"
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।