পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের যষ্টি। ՀՖՖ দর্শন, বা নামোচ্চারণে আপনার অস্থিমজ্জার ভিতর হইতে মনের অভ্যন্তরতল ভেদ করিয়া পুৰ্ব্বসংস্কার জাগ্রত ও উত্তেজিত হইয়া উঠিল ; আমনি তৎক্ষণাৎ শক্তির সম্বেগে, স্বায়ুরাশির স্বভাবস্তুত্রে, কাৰ্য্যকারণে শৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়। ক্রিয়ার পর ক্রিয়া সাধিত হইতে লাগিল ; তাই আপনার মুখে আজ জল আসিল। এই দৃষ্টাস্তের দ্বারা বিরুদ্ধবাদিদিগের মত খণ্ডবিখণ্ড করিতে পারি সত্য ; কিন্তু মনের কথা, প্রকৃত কাজের কথা, বলা হইল কৈ ? আপনি কখনও সিংহের গৰ্ত্তীর গর্জন শ্রবণ করেন নাই, সুতরাং তৎসম্বন্ধীয় ংস্কারও আপনার নাই ; কিন্তু অকস্মাৎ যদি গহন বনে বা গিরি-কন্দরে সেই ধ্বনি আপনার শ্রবণ-বিবরে প্রবেশ করে, তবে আপনি ভয়-বিহবল হইয়।—মুচ্ছিত হইয় পড়েন কেন ? সেই গর্জনকারী সিংহকে মনে করিয়া কি ? (না, আপনি ত কখনও সিংহ দেখেন নাই, সিংহের কথাও ত শ্রবণ করেন নাই । ) অথবা শব্দের কোন অর্থ বুঝিয় কি ? (না, তাহাও ত নহে, কেন না তাহার কোন অর্থই নাই।) বস্তুতঃ, সিংহ-গৰ্জনের স্বভাবগত শক্তির দ্বারাই আপনার শরীর ও মনের ধৰ্ম্ম, লক্ষণ, ও অবস্থা পরিবর্তিত হইয়াছে। আপনি ৰুদ্ধির দ্বার, বিদ্যার দ্বারা, এতাবৎ বুঝিতে পারুন, আর নাই পারুন ; কিন্তু আপনার দেহ, মন প্রভূতির তন্মাত্রগতির সহিত বাহ্য শব্দের প্রাকৃতিক গতির চির পরিচয় আছে । সেইরূপ জানিবেন, ‘হরি' এই সিদ্ধ শব্দটীর স্বভাবগত এইরূপ শক্তি আছে যে, উহা উচ্চারণ করিলেই তক তরু মুঞ্জরিত হয়, বিভক্ষ তালু সরস হয়, তাপিত প্রাণে স্বশীতল শান্তি-সলি