RSR পরিব্রাজকের বস্তৃত। লের ধারা বহিতে থাকে। কঠিন হইতেও কঠিনতর পাষাণ ভেদ করিয়া ঝর ঝর ধারায় স্নধার নিঝরিণী খুলিয়া যায়। তাই সাধক নৃত্য করিতে করিতে গাহিয়াছেন— “ংরি নাম কি মধুর নাম! নাম গুনে যে জুড়াল রে প্রাণ ॥ ও সে হরিনামের মোহন গুণে গ'লে যায় কঠিন পাবাণ । আর বলব কি, সে নামের গুণে মরুভূমে ডাকে বান ॥” কেহ কেহ বলিয়া থাকেন, ভক্তিপূর্বক হরিনাম না করিলে কোনও ফল হয় না আমরা এ সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার সহিত গ্রহণ করিতে পারিলাম না। ভক্তি অতি সুরারাধ্য ও তপস্যাসাধ্য, তাহা হরিনামের সঙ্গে গোজামিলন দিতে হুইবে কেন ? যদি ভক্তিই আমার থাকিত, তবে আর ভাবনা কি ? হরিনাম করিতে করিতে ভক্তির উদয় হইয়া থাকে ; কেন না,— “নাম্নাছি লভ্যতে ভক্তির্ভক্ত্যা প্রেমছি লভ্যতে । প্রেমা লভ্যতে গোবিন্দস্ততোনামঃ পরং নজি ॥* নাম করিতে করিতে শ্রদ্ধার উদয় হয়, শ্রদ্ধার পরিপাক হইলে ভগবদমুরাগের সঞ্চার হয়, এই অনুরাগের দ্বারাই গোবিন্দ-পদারবিন্দ-লাভ হইয়া থাকে ; এই জন্য নামই সৰ্ব্বাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ । অতএব ভক্তি অভক্তির দিকে না তাকাইয়। জীব । হরিনাম করিতে থাকিবে, দেখিবে— “নামের গুণে মরুভূমে ডাকে বমি।” হরি ‘শব্দটী ছোট খাট বলিয়। ইহার মহিমাকে ক্ষুদ্র বলিয়। মনে করিবেন না । ইহার প্রতাপে চতুরপতি
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।